শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন - শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন। শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য কেননা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন - শিশু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কি সে সম্পর্কে। 



পেজ সূচিপত্রঃ শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন - শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় 


সাধারণত শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মায়েরা খুব চিন্তিত থাকে। যেসব বাচ্চারা মায়ের বুকের দুধ খায় তাদের কিন্তু তিন থেকে চার দিন পর পর যদিও পটি হয় সেটা কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। আবার দিনে চার থেকে পাঁচ বার ও পটি হয় তাহলেও চিন্তার কিছু নেই। কোষ্ঠকাঠিন্য আমরা কখন বলব? যদি একটা বাচ্চা ৩-৪ বার পটি করার পরও দিনে অসুস্থ অনুভব করে পটি যদি ক্লিয়ার না হয় তাহলে সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়ে থাকে। অথবা একটি শিশু সপ্তাহে তিনদিন পটি করে সে যদি সুস্থ থাকে অর্থাৎ অসুস্থ অনুভব না করে তাহলে সেটাকে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য বলবো না। অর্থাৎ পটি যদি ঠিকঠাক ভাবে করে তাহলে সেক্ষেত্রে ধরে নেবেন কোষ্ঠকাঠিন্য নেই ।


যদি বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য হয় সে ক্ষেত্রে কি করবেন?👇


প্রথমত বাচ্চার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় সেক্ষেত্রে আমরা বলি ফর্মুলা মিল্ক বা বাহিরের দুধ না খাইয়ে বাচ্চাকে যদি বুকের দুধ খাওয়ানো হয় তাহলে কিন্তু বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য হয় না। আপনি বাড়তি খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি  রেসপিলিং করান তত বেশি আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্যর ঝুঁকি কম থাকবে। যদি বাচ্চাকে ফর্মুলা মিল্ক খাওয়ানোই লাগে তখন ফর্মুলা মিল্ক খাওয়ানোর পাশাপাশি যে বাড়তি খাবার গুলো বাচ্চাকে খাওয়াবেন সেই খাবারে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে আশ যুক্ত থাকতে হবে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। যে সকল শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাদের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করান এবং পানি খাওয়ার পাশাপাশি ফলের জুস করে খাওয়ানো যায় চিনি ছাড়া এবং এর পাশে যদি প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি বাচ্চাকে খাওয়ানো যায়। বিশেষ করে পেঁপে মিষ্টি কুমড়া এই ধরনের সবজি কিন্তু বাচ্চার খাবারে রাখতে পারেন। এগুলো বাচ্চার পেট নরম করতে  অর্থাৎ পায়খানা  ক্লিয়ার সাহায্য করে। এছাড়াও এক বেলা খিচুড়ির সাথে লাল শাক, পালং শাক, কিংবা পুঁইশাক বাচ্চার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারে এই সকল খাবার কিন্তু বাচ্চার পেট নরম করতে অর্থাৎ পায়খানা ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ সামনের ফাঁকা দাঁতের চিকিৎসা

আল বোখারা, খেজু্‌র, কলা এগুলো কিন্তু বাচ্চার পায়খানা ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে। আপনারা যদি একটি কলা বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন এর পাশাপাশি খেজুর অথবা আলু বোখারা ভিজিয়ে নরম হয়ে যাওয়ার পর চটকিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন তাহলে কিন্তু বাচ্চার পায়খানা ক্লিয়ার হয়। কেননা আলু বোখারাটা বাচ্চার পায়খানা ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ দাঁতের শিরশিরানি দূর করার উপায়

অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার বা স্পাইসি খাবার না দিয়ে যদি সহজ ভাবে রান্না করে খুব পুষ্টিকর খাবার যদি বাচ্চাকে দিতে পারেন।  তাহলে কিন্তু বাচ্চার এই কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হয় না এবং একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন বাচ্চাকে বাড়তি খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাতে হবে কারণ পানি যদি না খায় বা পানি যদি বাচ্চাকে না খাওয়ান তাহলে কিন্তু বাচ্চার খাবারটা সঠিকভাবে হজম হবে না। এবং তখন কিন্তু বাচ্চার পায়খানা করতে কষ্ট হবে এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং আঁশযুক্ত খাবার বাচ্চাকে খাওয়ান এবং এর পাশাপাশি যদি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ান তাহলে কিন্তু আপনার বাচ্চার  কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাটা আর থাকবে না।


শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় ঘরোয়া ভাবে জেনে নিন


  • বাচ্চাকে প্রতিদিন সকালে হালকা কুসুম গরম জলের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়ান এতে করে বাঁচার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
  • যে সকল বাচ্চাদের পটি খুব কষা সে সমস্ত বাচ্চাদের রাতের খাবারে  দুধ রুটি রাখতে পারেন। 
  • যে সকল বাচ্চাদের পটি খুব বেশি কষা সে সমস্ত বাচ্চাদের ইসুবগুলের ভুষি খাওয়াতে পারেন এবং রাতে শোয়ার আগে এক চামচ ইসুবগুলের ভুষি জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাইয়ে দিতে পারেন। 
  • বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়াতে হবে।
  • বাচ্চাকে সারারাত ভেজানো কিসমিস খালি পেটে খাওয়াতে পারেন কিসমিস খেলে কিন্তু বাচ্চার পটি ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
  • বাচ্চার খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখুন পেঁপে খেলেও কিন্তু বাচ্চার পটি ক্লিয়ার হয়ে যায়।
  • বাচ্চাকে প্রতিদিন কিছু পরিমাণ হলেও শাকসবজি  খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে ছোট থেকেই এবং ছয় মাসের বাচ্চা নবজাতক শিশু একটানা সাত দিন পর্যন্ত পায়খানা না করলে চিন্তার কোন কিছু নেই। ডাক্তারি মতে একটি নবজাতক শিশু যদি টানা এক সপ্তাহর মতো পটি না করে আর তার ফলে যদি বাচ্চার কোন শারীরিক সমস্যা না হয় তাহলে সেটা স্বাভাবিক এ নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।
  • বাচ্চার পটি না হলে পেটে ব্যথা বা যদি বাচ্চার অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে তখন কিন্তু আপনি চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করতে পাren
  • আপনি যদি ওষুধ না খাইয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাচ্চার পটি সমস্যা সমাধান করতে পারেন সেটা হচ্ছে সব থেকে ভালো উপায়। 

শেষ কথা

আশা করি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে এবং শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় কি। তাই আপনি যদি না জেনে থাকেন এ ধরনের উপায় তাহলে এগুলো অবলম্বন করে আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url