সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় - রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম সর্ম্পকে জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই জানে না সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় এবং রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি? তাই আজকের আর্টিকেলে সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় এসব খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি যদি এই বিষয়ে না জেনে থাকেন তাহলে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নিন সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
পেজ সূচিপত্রঃ সকালে খালি পেটে রসুন খেলে কি হয় - রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম সর্ম্পকে জেনে নিন
- রসুনের ব্যবহার কিভাবে শুরু হয়েছিল?
- রসুনকে এখন কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে জেনে নিন
- রসুন আমাদের শরীরে কিভাবে কাজ করে কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী
- রসুন সেবনের সঠিক নিয়ম
- শেষ কথা
রসুনের ব্যবহার কিভাবে শুরু হয়েছিল?
রসুন কে আমরা সাধারণত সুপারফুড বলে থাকি কিন্তু প্রাচীনকালে রসুন সুপারপুট ছিল না ছিল সুপার ড্রাগ। তখনকার কবিরাজ বুদ্ধিরা বিভিন্ন কর্মে বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে এই রসুনকে ব্যবহার করে থাকতো এবং অবিশ্বাস্য কার্যকারিতা থেকে এই রসুন কে নিয়মিত ব্যবহার পন্থা তারা অবলম্বন করেন। আর তারপর থেকেই নিয়মিত সবজি তরকারিতে রসুন ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো রসুন কে রান্না করার পর এর মধ্যে যে মূল কম্পাউন্ড থাকে যেটার নাম হলো অ্যালিসিন এটার কার্যকারিতা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। অ্যালিসিন হলো একটি অর্গানো সালফার যৌগ যা রসুন থেকে পাওয়া যায়।
রসুনকে এখন কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে জেনে নিন
যখন তাজা রসুন কাটা বা চূর্ণ করা হয় তখন এনজাইম অ্যালাইনেজ এলাইনকে এলিসিনে রূপান্তরিত করে যা তাজা রসুনের সুগন্ধর জন্য দায়ী। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে রসুন বা গার্লিকের বিভিন্ন রকম ব্যবহার পন্থা বা পদ্ধতি আমরা শিখেছি যার মধ্যে অধিকাংশই পদ্ধতি ভুল সেগুলো থেকে আমরা কোনরকম স্বাস্থ্য উপকারিতা পাই না। আজকে এই আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদের তিনটি রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে বলবো যে নিয়ম ফলো করে রসুন কে সেবন করলে স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো ১০০% পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে লেবুর রস হালকা গরম জল খেলে শরীরের কি পরিবর্তন ঘটে সে সম্পর্কে জেনে নিন
বর্তমানে বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে রসুনের মধ্যে থাকে Glutathione, Allicin, Antioxidant, Anti-inflammatory Activity,Antiviral,Antibacterial,Antifungalইত্যাদি এমন কোন গুনাগুন থাকে না যে গার্লিক বা রসুনের মধ্যে নেই। একদিকে যেমন রসুন এন্টিবায়োটিক এর কাজ করে অন্যদিকে পেইনকিলার এর কাজ করে। আবার এর মধ্যে আছে এন্টি ডায়াবেটিস প্রোপার্টি যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদের জন্য রসুন খুবই উপকারী। আবার Antihypertensiveহয়ে থাকে এবং Antihyperlipidemicও হয়ে থাকে। বিদেশে রসুনকে মানুষ বিভিন্নভাবে নিয়মিত ব্যবহার করছে এর পাউডার ফরম বা ক্যাপসুল ফরম বর্তমানে বেরিয়েছে। মানুষ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ও বিভিন্ন ভাবে রসুনকে সেবন করছে।
রসুন আমাদের শরীরে কিভাবে কাজ করে কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে ভীষণ কার্যকরী
অস্থির সন্ধির ব্যথা (Joint pain) দীর্ঘকাল ধরে যারা অস্থিসন্ধের ব্যথায় ভুগছেন বিশেষ করে বাতের ব্যথার ক্ষেত্রে যাদের Osteoarthritis, Rheumatoid Arthritisএর সমস্যা আছে বা নার্ভের সমস্যা কারণে পুরো শরীর ব্যথার সমস্যা হচ্ছে বা অন্য যে কোন সমস্যার ব্যথায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন সে সমস্ত ক্ষেত্রে কিন্তু রসুন খুবই কার্যকরী। নিয়মিত সঠিক নিয়মে রসুন সেবন করলে এই সমস্ত ব্যথা বেদনা থেকে তারা সম্পূর্ণভাবে মুক্তি পেতে পারে।
এলার্জি ও অ্যাজমা (Allergy & Asthma) যাদের এলার্জির সমস্যা আছে ধুলো ধোঁয়া ফুলের রেনু এমনকি ফুড এলার্জি সমস্যা আছে আর এর থেকে তাদের শরীরে রেসেজ হয় চাকা চাকা হয়ে ফুলে যায় চোখ লাল হয়ে যায়। চোখ দিয়ে জল পড়ে এই ধরনের যে সমস্যাগুলো আছে রসুন এই সমস্যাগুলোকে খুব সুন্দর ভাবে দূর করে। কারণ রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অ্যালার্জিক প্রপারটিক বর্তমান থাকে।এছাড়া যাদের অ্যাজমার সমস্যা আছে তারাও রসুন সেবনের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। যেহেতু রসুনের মধ্যে এন্টি ইনফ্লামেটরি আছে তাই এজমা রোগীদের জন্য রসুন খুবই কার্যকরী উপাদান। এছাড়াও হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা দ্রুত গতিতে ভালো হয়ে যায়।
চর্ম রোগের ক্ষেত্রে (Skin Disease) এই যে রসুনের মধ্যে Glutathioneআছে এটা যে কোন ধরনের স্কিন সমস্যা থেকে খুব সুন্দর ভাবে দূর করতে সাহায্য করে। যাদের স্কিনের মধ্যে দাগ ছোপ আছে চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে বা যাদের শরীরে রং শ্যামলা বর্ণের সেটা থেকে উজ্জ্বল বর্ণ পেতে চান বা যারা ফর্সা হতে চান। এই সমস্ত ক্ষেত্রে কিন্তু নিয়মিত রসুন সেবন করলে সেই সমস্ত সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কমে যেতে দেখা যায়। স্কিনের মধ্যে একটা তারুণ্য বা উজ্জ্বলতা ভাব দেখা যায়।
লিভারের সমস্যা ক্ষেত্রে ( Liver Detoxification) নির্দিষ্ট সময় পর পর আমাদের লিভারের মধ্যে আবর্জনা বা বিষাক্ত পদার্থ জমে যায় আর এইগুলো থেকে লিভারের বিভিন্ন রোগ হতে দেখা যায়। লিভার থেকে আমাদের যে পিত্তরস বের হয় সেটা কম পরিমাণে খরচ হয় আর যার কারণে গ্যাস এসিডিটি ইনডাইজেশনের সমস্যা হয়। এই সমস্ত সমস্যাগুলোকে এলিসিন বা রসুন খুব সুন্দর ভাবে দূর করতে পারে লিভারকে ফুল ডিটক্সিফাইড করতে সহায়তা করে। যাদের লিভারের মধ্যে এক্সট্রা ভেট জমে গেছে অর্থাৎ ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়ে গেছে এবং সেই সমস্যা থেকে তারা টেটোসিক্স চলে গেছেন। একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো এই টেটোসিক্স সমস্যা কে অগ্রাহ্য করলে একটা সময় এটা ক্যান্সারের মধ্যে চলে যাবে। তাই এই টেটোসিক্স পর্যায় কে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে রসুনের মধ্যে থাকা এলিসিন কম্পাউন্ড। তাই নিয়মিত রসুন কে সঠিক নিয়মে অবশ্যই সেবন করা উচিত।
অনিদ্রা সমস্যা (Insomnia) যাদের ঘুমের সমস্যা আছে যাদের রাতে ঘুম ভেঙে যায় সকালে ওঠার পর শরীর ক্লান্ত অলস দুর্বল লাগে তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু রসুন একটি ঔষধের কাজ করবে। কারণ রসুনের মধ্যে এমন কিছু কম্পাউন্ড থাকে যে কম্পাউন্ড গুলো আমাদের ব্রেনের নার্ভ গুলোকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। এমনকি যারা টেনশনের কারণে ডিপ্রেশনের কারণে রাতে ঘুম আসে না তাদের ক্ষেত্রে ব্রেনের মধ্যে গুড কেমিক্যাল খুব বেশি পরিমাণে রিলিজ করে এবং ব্যাড কেমিক্যাল এর মাত্রা কে কমাতে সাহায্য করে এতে রাতে খুব দ্রুত ঘুম এসে যায়।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে (High BP control) রসুনের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে আর এই পটাশিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের শরীরে যদি নিয়মিত পটাশিয়াম সঠিক পরিমাণে যায় সেটা কিন্তু অটোমেটিক্যালি রক্তচাপকে ব্যালেন্স করতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
ইউরিক এসিড(Uric Acid Control) যাদের রক্তের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিড অধিক পরিমাণে রয়েছে এবং এই ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার জন্য কিডনির মধ্যে প্রবলেম আসছে। কিডনি সেই ইউরিক এসিডকে ছেঁকে বের করতে পারছে না ইউরিক অ্যাসিড জয়েন্ট এর মধ্যে জমে যাচ্ছে এবং সেই জায়গায় ব্যথা সমস্যা হচ্ছে সেই সমস্ত ক্ষেত্রে রসুন কিন্তু চমৎকার কাজ দেয়। কারণ রসুনের মধ্যে এমন কিছু কম্পাউন্ড রয়েছে যেগুলো কিডনির কার্যকারিতাকে প্রতিহত করে। অতিরিক্ত ইউরিক এসিডকে বাইরে বের করে দেয় এবং আমাদের জয়েন্ট বা অস্থিতে ইউরিক এসিডের ফরমেটকে বন্ধ করে দেয় এতে করে ইউরিক এসিডের সমস্যাও কমে যেতে দেখা যায়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে যাদের রক্তের মধ্যে কোলেস্টরেলের মাত্রা বেশি আছে তাদের কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের সমস্যায় পড়তে হয়। খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এল ডি এল মাত্রা যখন বেশি থাকে তখন হার্ট অ্যাটাক জনিত সমস্যায় পড়তে হয়। তাই সে ক্ষেত্রে রসুন খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রসুন এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। রসুন খারাপ কোলেস্টেরল কে কমাতে সাহায্য করে তাই নিয়মিত রসুন সেবন করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমবে তার সাথে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রসুন নিয়মিত সেবন করলে রক্তের মধ্যে গ্লুকোজের মাত্রা খুব সুন্দর ভাবে নিয়ন্ত্রণ হতে দেখা যায় এবং এর জন্য রসুন সেবনের পদ্ধতি আছে সেই সঠিক পদ্ধতিতে রসুনকে অবশ্যই সেবন করতে হবে। নিয়মিত রসুন সেবন করলে অটোমেটিক্যালি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়।
সর্দি কাশি নিয়ন্ত্রণে সাধারণ যে সর্দি-কাশি বা জ্বরের সমস্যা হয় সেই সমস্ত ক্ষেত্রে রসুন খুব সুন্দর কাজ করে থাকে। কারণ এগুলো ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন বা ভাইরাল ইনফেকশন এর কারণ হয়ে থাকে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন আমাদের নাক মুখ দিয়ে ঢুকে ভাইরাল ইনফেকশনের সমস্যা তৈরি করে। যেমন সর্দি ঠান্ডা কাশি জ্বর তাই রসুনকে সঠিক নিয়মে সেবন করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটিকে সঠিক নিয়মে সেবন করলে কোন ওষুধের প্রয়োজন হয় না।
ডিপ্রেশন নিয়ন্ত্রণে যারা দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি রসুনকে সঠিক নিয়মে সেবন করতে পারেন তাদের এই সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যেতে দেখা যায়। যাদের হাত পা কাপার সমস্যা আছে যাদের মাথা ভার থাকে সমস্ত ক্ষেত্রে রসুন খুব সুন্দর কাজ দেয়।
রসুন সেবনের সঠিক নিয়ম
অনেকে সাধারণত সকালে কাঁচা রসুন ছোলা ছাড়িয়ে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে থাকে এই পদ্ধতিটি একদমই ভুল। খালি পেটে রসুনকে একদমই সেবন করা যাবে না হালকা খাবারদাবার খাওয়ার পর রসুনকে সেবন করতে হবে। প্রশ্ন হল রসুনকে কোন নিয়মে সেবন করবেন?
প্রথম পদ্ধতি হচ্ছে রসুনের দুটি কুয়া সুন্দর করে ছোট ছোট করে কেটে নিবেন এবং সেটাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত পাত্রের মধ্যে রেখে দেবেন এটা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নিলে হবে না। কাটার পর যে রসটা বের হয় ওটা হচ্ছে এলিসিন। এলিসিনটাকে Active হতে দিতে হবে এর জন্য কিছুটা সময় দরকার। রসুনকে স্লাইস আকারে ছোট ছোট করে কেটে এক গ্লাস উষ্ণ জলের সাথে খেতে পারেন সকালের দিকে এতে করে খুব ভালো বেনিফিট আপনারা পাবেন। আবার আরেক ভাবেও সেবন করতে পারেন দুটি রসুনের কোয়াকে সুন্দর করে বেটে পেস্ট তৈরি করুন সেটাকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত পাত্রে রেখে দিন অর্থাৎ এলিসিনটাকে Active হতে দিন তারপর খুব হালকা গরম জলের সাথে সেবন করে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে মেথি খাওয়ার উপকারিতা - মেথি খাওয়ার নিয়ম এবং মেথি কেন খাবেন?
দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে রসুনকে বেটে নিয়ে তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রথমে যে নিয়মের কথা বলেছি যে রসুনকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন তারপরে তার সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করে নিতে পারেন অর্থাৎ এলিসিনটাকে এক্টিভেট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তৃতীয় পদ্ধতি হচ্ছে রসুনকে দীর্ঘ মেয়াদে খাওয়ার জন্য একটি মিক্সার তৈরি করতে পারেন। ২৫০ গ্রামের মতো মধু নিবেন একটি পাত্রের মধ্যে এবং ১০ থেকে ১৫ টি রসুনের কোয়া ছাড়িয়ে নিয়ে সেটাকে পেস্ট করে ওই মধুর মধ্যে দিয়ে ঢেকে দিন। রোদ বা আলো পাবে না এমন জায়গায় ওটাকে ৭ থেকে ৮ দিনের মতো রেখে দিন এবং খুব সুন্দরভাবে ওটাকে চেক করে নেবেন যাতে খুব ভালোভাবে মিক্সার তৈরি হয়েছে কিনা। ৭ থেকে ৮ দিন একটি ঠান্ডা জায়গায় অর্থাৎ যেখানে রোদ পাচ্ছে না এমন জায়গায় রেখে দিন। তারপর ৮ থেকে ৯ দিনের মাথায় প্রতিদিন সকালে ব্রেকফাস্ট এর পর বা রাতে শোবার আগে এক চামচ করে নিয়মিত সেবন করুন। ১০ থেকে ১৫ দিন সেবন করার পরে আবার নতুন করে এটি তৈরি করে একই নিয়মে আবার সেবন করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ডায়াবেটিস বা সুগারের রোগীরা মধুর সঙ্গে একদমই সেবন করবেন না
শেষ কথাঃ এই তিনটে পদ্ধতিতে যদি আপনারা রসুনকে সেবন করতে পারেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু আজকের এই পুরো আর্টিকেলে যে হেলথ বেনিফিটের কথা বলা হয়েছে সবগুলো আপনারা পাবেন ।এবং রসুনের যত কার্যকারিতা রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াl এন্টিফাঙ্গাল এন্টিভাইরাল এর মধ্যে যে Glutathione আছে অ্যালিসিন আছে বা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে সকল গুনগুলো একটিভ অবস্থায় পেয়ে যাবেন অর্থাৎ কম্পাউন্ড গুলো এক্টিভ অবস্থায় আপনার শরীরে খুব সুন্দর ভাবে কাজ করবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url