কোন খাবারটি খেলে আপনার শত বছরের ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করা সম্ভব জেনে নিন

পেজ সূচিপত্রঃ কোন খাবারটি খেলে আপনার শত বছরের ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করা সম্ভব জেনে নিন

• কোন উপাদানের মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করা সম্ভব
• ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার জন্য যে উপাদানটি সেবন করবেন জেনে নিন
• সাদা তিল কি ভাবে সেবন করতে হবে?
• শেষ আলোচনা

কোন উপাদানের মাধ্যমে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করা সম্ভব

যে উপাদানের মাধ্যমে আপনি আপনার শত বছরের ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে পারবেন বেশি কিছু করতে হবে না শুধু মাত্র ঘরে পাওয়া এই উপাদানটি মাত্র ১০ দিন আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়বস্তু ক্যালসিয়াম এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। যে এটি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে থাকে তবেই স্নায়ুর মাধ্যমে ঠিক মতো বার্তা প্রেরন চলে। হরমোনের ক্ষরণ  রক্ত বাহিকা ও পেশী সংকোচন সম্প্রসারণ কাজও ঠিকমতো চলে এই ক্যালসিয়ামের কারণে। 

আমাদের হাড়ের গঠন দাঁতের গঠন এই সব কিছুই হয় ক্যালসিয়ামের জন্য।

আরো পড়ুনঃ কোন রোগের জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন - ডাক্তারের কাছে গিয়ে কি বলবেন জেনে নিন সকল বিষয়ের অজানা তথ্য

ক্যালসিয়ামের অভাব হলে হাড় পাতলা হয়ে যায় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাড় দুর্বল হয়ে যায় রিকেটস রোগ হয়ে যায়। এর ফলে এক সময় পঙ্গু পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে শিশুরা। আর হাড়ের ঘনত্ব অত্যন্ত পরিমাণ কমে গেলে অস্টিওপোরেসিস বা হাড় ফুটো হয়ে যাওয়ার মত ভয়ংকর রোগ  হতে দেখা যায়।

ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার জন্য যে উপাদানটি সেবন করবেন জেনে নিন

ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার জন্য এমন একটি উপাদান এর নাম জানাবো এই আর্টিকেলের মাধ্যমে যে উপাদানের মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করতে পারবেন। 

ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার জন্য যে উপাদানটি  এত বেশি কার্যকারিতা রেখেছে সেটি হলো সাদা তিল। সাদা তিল ক্যালসিয়ামের অভাব দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কার্যকর ভূমিকা রাখে। কালো তিলের চেয়ে সাদা তিল এর উপকারিতা বেশি একথা গবেষণা শাস্ত্র বলা হয়ে থাকে। এমনকি তিল থেকে যে তেল তৈরি হয় সেটা দিয়ে আপনি আপনার হাড় জয়েন্টের ব্যথা, হাড়ের ভেতরের খচখচ করা এবং হাটতে গেলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হওয়া ইত্যাদি সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ মৌরি খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম সর্ম্পকে জেনে নিন

সাদা তিলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা হাড় মজবুত করে। এই সাদা তিল যদি সেবন করতে পারেন তাহলে কখনোই আপনার হাড়ের জয়েন্টের ব্যথা হবে না। এছাড়াও হাটতে গেলে অথবা বসতে গেলে আপনার কখনো সমস্যা হবে না। বেশিরভাগ মানুষেরই দেখা যায় সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে গেলে পায়ে খুব ব্যথা হয় বা বেশিদূর পর্যন্ত যেতে পারে না। তাই এই সাদা তিল সেবন করার ফলে অতি সহজেই ৮০ থেকে ৮৫ বছর বয়সেও সিঁড়ি বেঁয়ে আপনি অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতে পারবেন এতটাই গুরুত্ব রয়েছে এই সাদা দিলে। এমনকি আপনি ৯০ বছর বয়সেও ২০ বছরের তরুনী- তরুণের মত সকালবেলা জগিং করতে পারবেন। এজন্য শুধুমাত্র ১০দিন আপনাকে সাদা তেল সেবন করতে হবে। সাদা তিল কেবল যে আপনার হাড় জয়েন্টের ব্যথা দূর করবে এবং ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে তা কিন্তু নয় রক্তের উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ভূমিকা অপরিসীম।

সাদা তিল কি ভাবে সেবন করতে হবে?

সাদা তিল খাওয়ার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না প্রতিদিন সকালে মাত্র এক চামচ করে টানা ১০দিন তিল চিবিয়ে খাবেন। এরপর একগ্লাস কুসুম গরম পানি পান করতে হবে সে ক্ষেত্রে তিল ভাজার কোন প্রয়োজন নেই। সাধারণত আপনি বাজারে গেলে খোসা ছারানো সাদা তিল পেয়ে যাবেন। মনে রাখবেন- তিলটা যাতে বিশুদ্ধ হয় ময়লা আবর্জনা যুক্ত তিল খাওয়া যাবেনা। টানা ১০ দিন আপনি বিশুদ্ধ তিল চিবিয়ে খাবেন কিন্তু এক চামচের বেশি খাবেন না। কেননা এক চামচ তিলে ৮৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে এটাই আপনার জন্য অতিরিক্ত হয়ে যায়। শরীরে আবার বেশি ক্যালশিয়াম জমা হলে তা আপনার জন্য ভিন্ন বিড়ম্বনার সৃষ্টি করবে তাই এক চামচের বেশি কখনই খাবেন না ।

এক্ষেত্রে প্রচলিত আছে গর্ভকালীন কয়েক মাসে তিল বা  তিলের তেল জাতীয় খাবার খেলে গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই এই সময় তিল জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও অনেকের তিল বা তিল থেকে তৈরি তেল খাওয়ার ফলে ত্বক লাল বর্ণ ধারণ করে এমন সমস্যা তৈরি হলে আপনাকে তিলের পরিমাণ কমিয়ে খেতে হবে। গবেষকদের মতে তিলে প্রচুর পরিমাণ ল্যক্সেটিভ আছে আপনি যদি নিয়মিত সাদা তিল খেতে থাকেন তাহলে আপনার ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য শুধুমাত্র ১০ দিন খাবেন যদি আপনার সমস্যা মিটে যায় তাহলে আপনি কিছুদিন পর আবার গ্রহণ করতে পারবেন।

কিন্তু কখনই দশ দিনের বেশি টানা খেতে যাবে না কেননা এটা যদি আপনার শরীরে এলার্জির সৃষ্টি করে। সেই এলার্জি কিন্তু আপনার ভিন্ন জটিলতা তৈরি করতে পারে মনে রাখবেন তিলে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম আছে ১০০ গ্রাম তিলে ১১ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে। অতিরিক্ত তিল খাওয়ার ফলে রক্তনালির মধ্যে পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে হঠাৎ করেই রক্তচাপ বৃদ্ধি হতে পারে তাই মনে রাখবেন তিল খাওয়া সময় আপনাকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে আধা চামচ সর্বোচ্চ এক চামচের বেশি তিল খাওয়া যাবে না। এবং টানা ১০ দিনের বেশি খাওয়া যাবে না এই টানা ১০ দিন খাওয়ার পরেও যদি আপনার মনে হয় আপনার শরীরে অতিরিক্ত এলার্জি বেড়ে গেছে তাহলে আপনাকে তিল খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে।