অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয়

প্রিয় পাঠক আপনারা প্রশ্ন করেছেন অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় সে সম্পর্কে। আপনারা যারা অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে আগ্রহী তারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় তার কারণ সমূহ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় 

ভূমিকা 

স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এটি হওয়া কোনো রকম শারীরিক সমস্যার লক্ষণ নয় বা শারীরিক সমস্যা নয়। এটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর থেকে যেকোন মানুষেরই হয়ে থাকে এমনকি ১৩ বছর বয়সের কিশোরদেরও স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। তবে যদি অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয় তাহলে সেটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। আর তাই আজ আপনাদের মাঝে আলোচনা করতে চাচ্ছি অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে কি কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় 

স্বপ্নদোষ কোন দোষের নয় বা কোন রোগ নয় এটি মানবজাতির জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। মেয়েদের ক্ষেত্রে যেমন একটি সময় আসলে পিরিয়ড হয় ঠিক তেমনি ভাবে বয়ঃসন্ধিকালে বিভিন্ন কারণে স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের এক মাসে চার পাঁচ বার স্বপ্নদোষ হতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হতে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় এর কয়েকটি কারণ রয়েছে।
  • এর মধ্যে মূল কারণ হলো বয়সন্ধিকালে যৌন হরমোনের পরিবর্তন
  • স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে যৌন বিষয়ক চিন্তাভাবনা করা
  • যৌন উত্তেজনা মূলক বই পড়া
  • ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে যৌন বিষয়ক চিন্তা করা
  • যারা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাগুলো তুলনামূলক বেশি দেখা দেয় যা স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশি হয়ে থাকে।
  • তবে যারা পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত তাদের মধ্যে অনেকেই হস্তমৈথনে অভ্যস্ত যারা হস্তমৈথুন করে থাকেন নিয়মিত তাদের স্বপ্নদোষের সমস্যা খুব কমই হয়। যেহেতু পরিমাণমত বীর্য জমে থাকতে পারেনা হস্তমৈথুনের মাধ্যমে সেটা বের হয়ে যায় তাই স্বপ্নদোষ সমস্যা তেমন দেখা দেয় না
  • তবে হস্তমৈথুন করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ বলেন মাঝে মাঝে হস্তমৈথুন করলে শরীরের জন্য উপকারী, তবে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয় এমনকি লিঙ্গ দুর্বল হয়ে যেতে পারে, সেইসাথে লিঙ্গের রগ ঢিলা হয়ে যায়।
তবে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে হস্তমৈথুন অবশ্যই হারাম। আর তাই অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে অবশ্যই উপরের বলা বদ অভ্যাসগুলো দূর করতে হবে। আপনারা জানলেন অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় সে সম্পর্কে।

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে কি কি ক্ষতি হয়

আপনারা আগে জেনেছেন অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় সে সম্পর্কে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে এর মধ্যে রয়েছে-
  • শারীরিক দুর্বলতা ও মাথা ভারী হওয়ার মত সমস্যা। কারণ এই সময় শরীর অনেকটা অস্বাভাবিক হয়ে যায় এবং মাথা অনেকটা ভারী হয়ে যায়। নিজেকে স্বাভাবিক করতে অনেক সময় লেগে যায় যা একজন মানুষের জন্য বেশ অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
  • অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে অনেকের বুকে ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়, সে সাথে শরীরের চামড়া ঢিল হয়ে যায়।
  • অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষের কারণে অনেকেই চোখে ঝাপসা দেখেন যা অবশ্যই অনেক ক্ষতিকর সেই সাথে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় যা জ্বরের লক্ষণ বলা যায়।
  • আর তাই অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হলে আপনাদের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত সেই সাথে উপরে আলোচনা করা হয়েছে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়ার কারণসমূহ এর মধ্যে কোন বদ অভ্যাস থাকলে সেটি অবশ্যই পরিত্যাগ করুন।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় কি?

স্বপ্নদোষ প্রত্যেকটি পুরুষের জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার এমনকি মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার শুরুর দিকের বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ বেশি হয়ে থাকে। এছাড়াও বয়সন্ধিকালে যে কোন ছেলে এবং মেয়েদের স্বপ্নদোষ হতে পারে। তবে স্বপ্নদোষ পুরোপুরিভাবে বন্ধ করার কোন উপায় নেই, এর কারণ হলো এটি আল্লাহর প্রদত্ত নিয়ম মানুষের শরীরে যখন বীর্যগুলো জমতে থাকে তখন তা একপর্যায়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ঘুমের মধ্যে বেরিয়ে যায়। 
আর এটি কোন ভয়ের কারণ নয় যদি স্বাভাবিকভাবে স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে অর্থাৎ এক মাসে চার থেকে পাঁচ বারের মতো কিংবা এর থেকে কম সেক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। এর জন্য কোন রকম ঔষধ সেবন করার কথা চিন্তা করবেন না। তবে আপনি যদি ঘন ঘন স্বপ্নদোষ না হোক তা চান সেক্ষেত্রে আপনি নিজেকে সংযুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন কোন রকম অশ্লীল পর্নোগ্রাফি ভিডিও বা মনে মনে কোনরকম যৌন উত্তেজনামূলক কথা চিন্তা করবেন না এর ফলে এই সমস্যাটি খুব কম হবে। তবে একেবারেই বন্ধ করা সম্ভব নয় কারণ এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয়ঃ উপসংহার

স্বপ্নদোষ হওয়া একজন পুরুষের জন্য খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয় এটি কোন ভয়ের কারণ নয় তবে যদি কারো অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ওপরের বলা নিয়ম অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন আশা করি আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে। এরপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। 

আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জেনেছেন, অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ কেন হয় স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। যদি আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারেন। ২৫২৪২

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url