শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি

শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি? সাধারণত আমরা অনেকেই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানিনা। শুক্রাণু সম্পর্কে আমাদের সকলের ধারণা আছে কিন্তু শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি? এই বিষয়গুলো তেমনভাবে জানা নেই। আপনাদের জানার সুবিধার্থে আজকের এই আর্টিকেলে শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি? এ বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করব।

তাহলে চলুন শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি? বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি

শুক্রাণু কি

শুক্রাণু চিনেনা সাধারণত এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে পুরুষমানুষেরা শুক্রাণু এর সাথে পরিচিত। কিন্তু আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই জানা নেই শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি? তাই আজকের এই আর্টিকেলে বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব। তার আগে আমাদেরকে জেনে নিতে হবে যে শুক্রাণু কি?

আরো পড়ুনঃ লোকেশন ট্র্যাক করার সহজ টিপস

শুক্রাণু হল পুং জনন কোষ বা গ্যামেট। সাধারণত এটি পুং গ্যামেট আকারে ছোট এবং স্ত্রী গ্যামেটের আকারে বড় কিন্তু নিষ্ক্রিয় হয়। পৃথিবীতে যত সকল প্রাণী রয়েছে সাধারণত তারা স্পার্মাটোজোয়া নামক এক ধরনের চলনশীল শুক্রাণু তৈরি করে সাধারণত এটি সাথে ফ্ল্যাজেলাম নামক একটি লেজ থাকে। শুক্রানু এর সাথে কিছু লাল শৈবাল দেখা যায় এ ছাড়া ছত্রাক চলনহীন শুক্রাণু তৈরি করে থাকে।

আমরা অনেকেই শুক্রাণুর কাজ কি সাধারণত এ বিষয়গুলো তেমনভাবে জানেনা। শুক্রাণুর প্রধান কাজ হলো ডিম্বাণুতে পৌঁছানো এবং ডিম্বানোর সাথে নিষিক্ত হয়ে দুটি উপকোষীয় কাঠামো তৈরি তৈরি করা। এগুলো হলো পুরুষ প্রোনিউক্লিয়াস যেখানে জেনেটিক উপাদান রয়েছে এবং সেন্ট্রিওলগুলি যাদের গঠন মাইক্রোটিউবুল সাইটোস্কেলটনকে সংগঠিত করতে সহায়তা করে।

শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি

শুক্রাণু কি সাধারণত এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা একটু হলেও ধারণা পেয়েছি কিন্তু শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি অর্থাৎ শুক্রাণু এর গঠন সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই। সন্তান জন্মদানের জন্য শুক্রানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। সাধারণত শুক্রাণু পুরুষদের ক্ষেত্রে তৈরি হয়ে থাকে। তাহলে চলুন শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আমরা যে সকল শুক্রানু দেখে থাকি সাধারণত এই শুক্রানুগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। শুক্রানু এর প্রথম অংশকে মস্তক এবং দ্বিতীয় অংশকে লেজ বলা হয়। তাহলে চলুন আমরা এখন জেনে নেই যে শুক্রাণুর এই ভাগ গুলো কি দিয়ে তৈরি?

আমরা শুক্রাণুর সম্মুখভাগের যে গোলাকার অংশটিকে দেশী সাধারণত এটিকে বলা হয় মস্তক বা মাথা। আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখে যে মস্তকের একটি বড় আকারের নিউক্লিয়াস থাকে। এই নিউক্লিয়াস এর মধ্যে ক্রোমোজোম যা হ্যাপ্লয়েড শঙ্কায় থাকে এবং ঘন আকৃতির ক্রোমাটিন তন্তু থাকে। এই শুক্রাণুর অগ্রভাগে টুপির মত একটি থলি থাকে সাধারণত এটি ডিম্বাণুর ঝিল্লি ভেদ করে ভেতরের দিকে প্রবেশ করে।

এখন শুক্রাণু এর আরও একটি অংশ হলো লেজ। মাথার সাথে সংযুক্ত যে লেজের মতো অংশটি আমরা শুক্রানুতে দেখতে পায় সাধারণত এটিকে লেজ বলা হয়। সাধারণত লেজ শুক্রাণু কে চলাচল করতে সাহায্য করে থাকে। যখন শুক্রাণু ডিম্বাণুতে প্রবেশ করে সাধারণত তখন লেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এটি প্রবেশ করাতে। প্রাণীদের যে শুক্রাণু তৈরি হয় সাধারণত এটি পুরুষের অন্ডকোষ এর অভ্যন্তরীণে মিয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

সাধারণত এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে প্রায় ৭০ দিন সময় লাগে। পুরুষদের দেহ থেকে বীর্য নামে যে তরল পদার্থ নির্গত হয় সাধারণত এগুলোকেই শুক্রানু কোষ বলা হয়। মানুষের যে শুক্রাণু রয়েছে সাধারণত এগুলো নারীদের প্রজননতন্ত্রের মধ্যে পাঁচ দিন এর বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে পারে।

কত বছর পর্যন্ত শুক্রাণু তৈরি হয়

অনেক পুরুষের প্রশ্ন থাকে যে কত বছর পর্যন্ত শুক্রাণু তৈরি হয়? সাধারণত মহিলারা একটি নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার পরে আর সন্তান জন্ম দিতে পারে না। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে কি এরকম কোন বিষয় রয়েছে। তার প্রতিটি পুরুষেরই জেনে রাখা উচিত শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি? এবং কত বছর পর্যন্ত শুক্রাণু তৈরি হয়? তাহলে চলুন উত্তর বিষয়টি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ চোখ গর্তে চলে গেলে কি করবেন

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে অনেক বৃদ্ধ বয়সেও অনেক পুরুষ সন্তানের বাবা হয়। সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে মেনোপজ হয়। সাধারণত নারীদের ডিম্বাশয় ইক্টুরিয়ান প্রোজেস্টেরন উৎপাদনের ক্ষমতা একেবারে হারিয়ে ফেলে। সাধারণত এর কারণে নারীরা প্রজনন ক্ষমতা হারায়। অর্থাৎ নারীরা এই বয়সের পরে আর সন্তান জন্ম দিতে পারে না।

এ ক্ষেত্রে প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে একই বয়স হবে এমনটা নয় বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে। আপনার মনের নিশ্চয় প্রশ্ন জেগেছে যে পুরুষদের ক্ষেত্রে কি এরকম কোন বিষয় আছে? নারীদের মতো পুরুষদের মেনোপেজ আছে সাধারণত চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে বলা হয় এন্ড্রোপজ। মানে যখন পুরুষদের হরমোন টেস্টোট্রেরনের মাত্রা কমে যেতে শুরু করে।

সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা একটি নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার পরে ঘুরতে পারে কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত এই ঘটনাটি খুবই ধীরে ধীরে ঘটে। আবার সবার একই বয়সে ঘটবে এমনটা নয়। অনেকেই ক্ষেত্রেই ৫০ বছরের নিচে এ সমস্যা করতে পারে আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ৮০ বছর বয়সে গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রাণু তৈরির উপায়

আপনার যদি শুক্রাণু খুবই কম থাকে তাহলে সন্তান জন্ম দিতে পারবেন না। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষটির ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। এখন আপনি কিভাবে আপনার শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করবেন? অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে। বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যদি আপনি এই পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেন তাহলে খুব সহজেই শুক্রাণু তৈরি করতে পারবেন।

১। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদি আমরা আমাদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি এবং নিয়মিত ব্যায়াম করে থাকি তাহলে আমাদের শরীর সুস্থ থাকবে এবং আমাদের ভেতরে শুক্রাণু তৈরি হবে বেশি করে।

২। আপনি যদি শুক্রাণু তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। বেশি করে শুক্রানো তৈরি করার জন্য আর কোন বিকল্প নেই স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়ার। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় তাজা ফল শাকসবজি এবং বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার রাখতে হবে।

৩। আপনার যদি বেশি শুক্রাণু তৈরি না হয় তাহলে এর অন্যতম একটিভ প্রধান কারণ হলো শক্ত অন্তবাস পড়া। সাধারণত এটি পুরুষের অন্ডকোষের উপরে প্রভাব ফেলে। তাই আপনি যদি শুক্রাণু তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই করা বাদ দিতে হবে।

৪। রসুন এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। আপনি যদি নিয়মিত রসুন খেতে পারেন তাহলে এটি আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করবে এবং আপনার শুক্রাণু তৈরি করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের যৌনবাহিত রোগ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

আমাদের শেষ কথাঃ শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে শুক্রাণু কি? শুক্রাণু কি দিয়ে তৈরি? কত বছর পর্যন্ত শুক্রাণু তৈরি হয়? শুক্রাণু তৈরির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু আমরা এই বিষয়টির সাথে পরিচিত তাই অবশ্যই আমাদেরকে বিষয়গুলো বিস্তারিত জেনে রাখতে হবে। বিশেষ করে কিভাবে শুক্রানু বাড়ানো যায় এই বিষয়ে গুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ কম্পিউটার ব্যবহার করতে সবচেয়ে বেশি কি দরকার

এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেল এর সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url