স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ
স্বপ্নদোষ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কিন্তু স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ
স্বাভাবিক নাও হতে পারে। আর সে জন্য স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ জানা জরুরী। আজকে
স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ কি বা কেন হয়না তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বয়ঃসন্ধিকালে স্বপ্নদোষ প্রায় সব ছেলেদেরই হয়ে থাকে। আর সাধারণ ভাবে
বয়ঃসন্ধিকালে এটা হওয়া অনেকে ভালোভাবেই দেখে। কিন্তু যদি খুব বেশি মাত্রায় হয়
বা বয়স বেশি হওয়ার পরেও হয় তাহলে এটা সমস্যা হতে পারে। আবার স্বপ্নদোষ না
হওয়ার কারণ কি সেটাও অনেক সময় চিন্তার কারণ হয়ে দাড়ায়।
পেজ সূচিপত্র : স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ
- স্বপ্নদোষ হওয়া কি স্বাভাবিক
- স্বপ্নদোষ কেন হয়
- স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ
- স্বপ্নদোষ না হলে কি করব
- শেষ কিছু কথা
স্বপ্নদোষ হওয়া কি স্বাভাবিক
স্বপ্নদোষ কথাটির শেষে দোষ শব্দ থাকলেও আসলে এটি কোনো দোষ নয়।
বয়ঃসন্ধিকালে অর্থাৎ ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে স্বপ্নদোষ
স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই স্বপ্নদোষ হওয়া কি স্বাভাবিক এটা নিয়ে চিন্তিত
তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে
হবে। না হওয়া টা উচিত না। শুধু বয়ঃসন্ধিকাল না এটা পার হবার পরেও অনেকের
স্বপ্নদোষ হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট বয়স পার হওয়ার পর স্বপ্নদোষ হওয়া টা
স্বাভাবিক থাকে না। তাই স্বপ্নদোষ হওয়া কি স্বাভাবিক কিনা সেটা বয়সের উপর
নির্ভর করছে।
স্বপ্নদোষ কেন হয়
স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ জানার আগে স্বপ্নদোষ কেন হয় জানা জরুরী।
আপনাদের বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে বয়সে কারনে বেশিরভাগ সময় হয়।
স্বপ্নদোষ, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নামকরণ করা হয় "নাইটমেয়র" বা "নাইট ফলস"
এবং সহজভাবে স্বপ্নের আলোকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রাপ্ত না হলে স্বপ্নের
অস্তিত্বে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। স্বপ্নদোষ হলে একজন ব্যক্তির স্বপ্ন
অস্তিত্বে অপ্রাস্তাবিক গভীরভাবে উপস্থিত থাকে, এবং তা স্বপ্নের স্থানে
এবং স্বপ্নের যাত্রা প্রভৃতির নেয়। স্বপ্নদোষের এই সাধারণ অবস্থায় শুষ্ক
জ্বালানি এবং দেহের গতি ক্ষতি পেতে পারে। স্বপ্নদোষ কেন হয় তা সম্পর্কে
মোটামুটি সকলের৷ ধারণা আছে।
আরো পড়ুন : কম্পিউটার ব্যবহার করতে সবচেয়ে বেশি কি দরকার
স্বপ্নদোষ একটি মনস্বাস্থ্য সমস্যা, যা স্বপ্নের অস্তিত্বে অস্থিরতা,
অসুস্থতা, এবং মানসিক দু:খের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এটি স্বপ্নের জগতে
স্বপ্নের অবস্থা ও যাত্রা নিয়ে একটি অদ্ভুত অবস্থা, স্থিতি এবং
দুশ্চিন্তা তৈরি করে। স্বপ্নদোষের এই অস্তিত্ব ধারণা আমাদের স্বপ্নের
দুনিয়ায় অত্যন্ত জরুরী অবস্থা এবং তা আমাদের দিনের বাকি সময়ে আমাদের
মানসিক স্থিতি ও চাপে প্রভাব ফেলতে পারে। স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ
হিসেবেও এসব সমস্যা দেখা যেতে পারে। স্বপ্নদোষের চাপে আপনার স্বপ্ন
অস্তিত্ব ধারণা উভয় শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ
বয়ঃসন্ধিকালে অনেকের আবার স্বপ্নদোষ নাও হতে পারে।স্বপ্নদোষ না হওয়ার
কারণ হিসেবে তার যে সমস্যা আছে টা না। আবার নিয়মিত হস্তমৈথুনের
প্রভাবে স্বপ্নদোষের পরিমাণ হ্রাস পায়। যেহেতু স্বাভাবিক নিয়মিত
স্বপ্নদোষ কোন সমস্যা নয়, তাই এর কোন চিকিৎসা নেই। স্বপ্নদোষ না
হওয়ার কারণ আরো অনেক আছে। স্বপ্নদোষ না হওয়া কোনো রোগের লক্ষণ নয়।
তবে স্বপ্নদোষ না হওয়াটা অনেক সময় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কারণ এর মাধ্যমে পুরুষের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা প্রকাশ পায়। তাই
প্রত্যেক পুরুষের স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। আপনার যদি একদমই না হয় তাহলে
এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞ কারো সাথে আলোচনা করা উচিত।
আরো পড়ুন : নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী
তবে এটা বড় কোন সমস্যা নয়। স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ অনেক কিছুই হতে
পারে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন দরকার নেই। আপনি একদম নিশ্চিন্ত
থাকতে পারেন। এসব নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করার ফলে আপনার শরীরের
ক্ষতি হতে পারে। এবং এর ফলে আপনি অনেক মানসিক চাপেও করতে পারেন।
স্বপ্নদোষ নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করতে থাকলে নানা রকম সমস্যা হতে পারে।
যেটা আপনার দেহের জন্য ভালো নয়। আর আপনার কাছে যদি এটা অনেক
দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে
পারেন। তিনি আপনাকে বিভিন্ন প্রকারের মন্তব্য করতে পার, পাশাপাশি
বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।
স্বপ্নদোষ না হলে কি করব
স্বপ্নদোষ সাধারণত দুই কারণে হয়ে থাকে। যৌন উত্তেজক কিছু দেখলে,
পড়লে, ভাবলে কিংবা করলে। যখন উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়, কিন্তু
বীর্যপাতের কোনো ব্যবস্থা হয় না, তখন স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত
হয়। বীর্যথলি পূর্ণ হয়ে গেলে। অনেকদিন ধরে বীর্যপাত না ঘটলে বীর্য
বেড়ে বেড়ে একসময় থলি পূর্ণ হয়ে যায়। তখন আরো বীর্য উৎপাদন হলে এবং
বীর্যপাতের কোনো ব্যবস্থা না হলে সেটা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত
হয়। যদি স্ত্রী সঙ্গম করেন কিংবা হস্তমৈথুন করেন তাহলে হতে পারে।
স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ এগুলোই। স্বপ্নদোষ না হলে কি করব তা নিয়ে
সবারই অনেক ভ্রান্ত ধারণা থাকে।
আরো পড়ুন : গর্ভবতী মায়ের ফল খাবার তালিকা
তাহলে স্বপ্নদোষ না হলে কি করব কি করবেন বুঝতে পেরেছেন? এটা না হওয়া
টা স্বাভাবিক স্বাভাবিক।সবসময় হস্তমৈথুন করলে সারা জীবনেও
যদিস্বপ্নদোষ না হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।তাই হস্তমৈথুনের অভ্যাস
থাকলে, সেটা পরিত্যাগ করুন।যদি স্ত্রী সঙ্গম, হস্তমৈথুন বা অন্য কোনো
উপায়েই বীর্যপাত না ঘটে থাকে এবং স্বপ্নদোষও না হয়, তাহলে বুঝতে হবে,
আপনার বীর্য উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। তাই স্বপ্নদোষ হচ্ছে না।
এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ নিলে
আপনি এরশাদের সমাধান পাবেন নিশ্চয়ই। আর এটাই আপনার জন্য সব থেকে
ভালো উপায় হবে।
শেষ কিছু কথা
স্বপ্নদোষ না হওয়ার কারণ গুলো জানা থাকলে এটা সমাধান করা অনেক সহজ
হবে। এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনো দরকার নাই। স্বপ্নদোষ অনেকের সময়
মতো হয় আবার অনেকের হয় না। আবার অনেকের হয়ই না। যদি আপনি মনে করেন
আপনার সমস্যা আছে তাহলে ডাক্তারের সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করতে
পারেন। তিনি আপনাকে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ করে দেখবেন এবং এর সমাধান
দিতে পারবে। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন অর্ডিনারি আইটি ওয়েবসাইটে। আপনার দিন শুভ হোক। ২৬১৪০
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url