নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী

আপনারা কি নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী পোস্টটি আপনাদের জন্য। নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাংলার নবাব হবার কাহিনী ও মীরজাফরের পতন নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল আজকে আমরা আলোচনা করব নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী সম্পর্কে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী

নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী সম্পর্কে। আজকে আমরা নবাব সিরাজউদ্দৌলার জীবন কাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তাই আমাদের পোস্টটি পুরোপুরি পড়লে আপনিও নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী সম্পর্কে জানতে পারবেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত এবং নিহত হবার পর বাংলার নবাবদের কে ইংরেজরা হাতের পুতুল এ পরিণত করেছিলেন এবং বাংলার প্রকৃত শাসকের নিজেরাই পরিণত হয়েছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পুরো নাম মির্জা মোহাম্মদ বেগ।

আরো পড়ুনঃ ২১শে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস ও পটভূমি

তিনি আলীবর্দী খানের দৌহিত্র ছিলেন। সিরাজউদ্দৌলার বাবার নাম জৈনুদ্দিন আহমদ খান এবং মায়ের নাম আমিনা বেগম। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে। তার জন্ম নেয়ার পরপরই আলীবর্দী খান বিহারের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এই কারণে সিরাজউদ্দৌলা পরিবারে সৌভাগ্য সুযোগ সন্তান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। সিরাজউদ্দৌলার পিতামহের তার প্রতি বিশেষ স্নেহ ও পক্ষপাত ছিল। তার শিক্ষা জীবন কেটেছিল তার পিতামহের গৃহে। আলীবর্দী খান ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে মে মাসে তার উত্তরাধিকার হিসেবে সিরাজউদ্দৌলাকে ঘোষণা করেছিলেন। এই কারণে বাংলার ইউরোপীয় কোম্পানিগুলো তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।

কত সালে নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাংলার নবাব হয়েছিলেন

নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার সব শেষ নবাব। তিনি এক প্রতিমূর্তি হিসেবে বাংলার ইতিহাসে বিশেষভাবে পরিচিত। নবাব সিরাজউদ্দৌলা খুব কম বয়সেই বাংলার স্বাধীনতার নবাব হবার সুযোগ পান। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি নবাব হয়েছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশীর যুদ্ধে মৃত্যুর পরেই বাংলায় ইংরেজরা শাসন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রায় ২০০ বছরের মতো বাংলাকে ইংরেজরা শাসন করেছিলেন।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় যুব দিবস কবে

আপনারা যারা নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী সম্পর্কে জানতে চান আমাদের আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। নবাব সিরাজউদ্দৌলার খুব কাছের মানুষ ও তার সেনাপতি মীরজাফরের জন্য ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজকে বরণ করতে হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এর আগে ১৭৫৬ সালের এপ্রিল মাসে মাত্র ২৩ বছরেই বাংলার নবাব হয়ে সিংহাসন দখল করেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার নানা আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পরপরই তাকে এই সিংহাসনের দায়িত্বভার তুলে দেয়া হয়েছিল।

কিভাবে বাংলার সর্বনাশ করেছিলেন মীরজাফর

বাংলার সর্বনাশ করবার জন্য অনেকাংশেই দায়ী ছিলেন মীরজাফর। গোলাম হোসেন খান লিখেছিলেন, মীরজাফরের সব সময় দামি গয়না জহরত পড়বার একটা শখ ছিলো। কিন্তু নবাব হবার পর পরেি নানা রত্ন খচিত ছয়-সাতটা গহনা পড়া শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। গলাতে সব সময়ই ৩-৪টা মুক্তোর মালা থাকতো। সে সব সময় গান শুনত এবং মেয়ে দের নাচ দেখতে চাই তো। কিছুদিনের মধ্যেই মানুষ বুঝতে পেরেছিলেন যে মীরজাফরের বাংলা শাসন করবার মতো ক্ষমতা নেয়।

মীরজাফরের আচার ব্যবহার গুলো একজন অশিক্ষিত আরো সুন্দর মত হয়ে গেছিল। যার রাজ্য সামলাবার মতো কোনো দক্ষতা ছিলই না। স্যার প্যান্ডেরল মুন তার দা ব্রিটিশ কনকোয়েস্ট এন্ড ডমিনিয়ন অফ ইন্ডিয়া এই বইটিতে লিখেছেন, ক্লাইভ ইংল্যান্ডে ফিরে যাবার জাহাজে ওঠার আগেই বলেছেন, মীরজাফরের শাসন করার মতো কোনো ক্ষমতা নাই। প্রজাদের ভালোবাসা আর বিশ্বাস অর্জন করতে ও সে অক্ষম। মীরজাফরের কুশাসন বাংলাকে ঠেলে দিয়েছে অরাজকতার দিকে।

মীরজাফরের পতন হওয়ার কারণ

পলাশীর যুদ্ধের বছর খানেকের মধ্যেই মীরজাফরের তেজ আস্তে আস্তে নিভে যেতে শুরু করে। কিছুদিন আগেও যেই ক্লাইভ মীরজাফরের পক্ষ নিয়ে সব সময় কথা বলতেন তিনিও তাকে দ্য ওল্ড বোকা বুড়ো বলেন এবং মীরজাফরের ছেলে মীরানকে ও আ ওয়ার্থলেস ডগ কিংবা বেকার কুকুর বলে উল্লেখ করেন। আলস্য অক্ষমতা ও আফিম এর নেশা মীরজাফরকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল।

আরো পড়ুনঃ ২৬ শে মার্চ কি দিবস?

১৭৫৮ সালের ১১ই নভেম্বর ক্লাইভজন পিন কে লেখা একটা চিঠিতে বলেছিলেন, যে ব্যক্তিকে আমি মসনদে বসিয়েছিলাম সেই ব্যক্তি একটা অহংকারী, লোভী এবং কথায় কথায় গালিগালাজ করা একটি ব্যাক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। তার এই ধরনের ব্যবহার গুলোর জন্যই তিনি নিজেই প্রজাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলেন।

শেষ কথাঃ নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী

নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী মীরজাফরের পতন হওয়া সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, নবাব সিরাজউদ্দৌলার সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url