রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত 2024
আপনারা প্রশ্ন করেছেন রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। আর তাই আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব, রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত সে সম্পর্কে। রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। চলুন তাহলে দেখে নেই রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত বিস্তারিত ভাবে।
চলুন দেখি নেই রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত
পেজ সূচিপত্রঃ রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত
রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত
ভূমিকাঃআমরা অনেকেই জানিনা কোন আম সবচেয়ে বেশি মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে ।তাই আজকে রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত সে সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত সে সম্পর্কে জেনে নিন।
খিরসাপাত ও হিমসাগর এই আম দুটি রাজশাহীর মধ্যে বিখ্যাত। কেননা এই আম দুটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।
কেন রাজশাহীতেই বেশি আমের উৎপাতঃ ভালো ফসল হওয়ার পিছনে যেটি অন্যতম ভূমিকা পালন করে সেটি হলো মাটি ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। তেমনি রাজশাহীর আমের উৎপাত একই কারণে ঘটে।মাটি ও আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। অন্যান্য জেলার থেকে রাজশাহীর মাটি ও আবহাওয়া দুটি সচ্ছল। তাই রাজশাহী জেলায় আমের অথবা যেকোনো ধরনের ফলের আবির্ভূত অনেক বেশি। যা অন্য জেলায় তা হয় না মিষ্টি সুগন্ধ এবং স্বাদের জন্য জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে যে আমটি সেটি হল খিরসাপাত ও হিমসাগর আম ।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি কুমড়ার মধ্যে কি কি পুষ্টিগুন আছে
খিরসা পাত আম চেনার উপায়ঃ খিরসাপাত আম চেনার বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
যেগুলো লক্ষ্য করলে আমরা বুঝতে পারবো এটা খিরসাপাত আম। তাহলে দেখে নেই সবচেয়ে মিষ্টি সুগন্ধি ভরা খিরসাপাত আমটি চেনার উপায়। খিরসা পাত আমটি দেখতে অনেকটাই গোল আকার হয়ে থাকে। এছাড়াও এই আমটি আরেক ভাবে চেনার উপায় হচ্ছে খিরসাপাত আমটির ভোটার অংশ মোটা এবং নিচের অংশ চিকুন আকারের হয়ে থাকে ।
এছাড়াও খিরসাপাত আমটি পাকার পর বোটার অংশ হালকা হলুদ রঙ ধারণ করে।
খিরসাপাত আমটির ওজন এবং ফলনঃ প্রতিটি খিরসা পাত আমের গড় ওজন ২৬৪ গ্রামের মতো হয়ে থাকে। খিরসাপাত আমের ফলন বেশ ভালো। খিরসাপাত আম সব থেকে ভালো মিষ্টি এবং সুস্বাদু হওয়ার কারণে বাজারে এর দাম অধিক পরিমাণে বেশি হয়ে থাকে ।খিরসা পাত ও হিমসাগর আম দুটি খুব ভালো ফলন হওয়ার কারণে বাজারের ব্যবসায়ীরা এর মাধ্যমে লাভজনক হয়ে থাকে।
খিরসাপাত আমের স্বাদ কেমনঃ খিরসাপাত আমের স্বাদ বলতে গেলে এটি অতুলনীয় স্বাদে ভরপুর। এটি রসালো সুগন্ধযুক্ত এবং অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের। খিরসাপাত আমটি এতটাই স্বাদযুক্ত হয় যে আপনি খেয়ে সন্তুষ্ট হবেনই হবেন। খিরসাপাতের আমের খোসা সামান্য পরিমাণে মোটা হয়ে থাকে এবং আঁশবিহীন। যারা আসযুক্ত আম খেতে পছন্দ করেন না তাদের জন্য এই আমটি খুবই স্বাদের হবে। এটি একবার খেলে বারবার খেতে মন চাইবে এতটাই স্বাদের হয়ে থাকে।
খিরসাপাত আমটি কখন বাজারে আশেঃ খিরসাপাত আমটি জুন মাসের শুরু থেকেই খাওয়ার উপযোগি হয় এবং বাজারে আসতে থাকে। এটি জুলাই মাসের মাঝ বরাবর পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায় । খিরসাপাত আমটি বাংলার জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে অন্যতম। খিরসাপাত আমের উৎপাদন অন্যান্য আমের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে ।তাই যারা আমের ফলন করতে চান তারা এই খিরসা পাত আমটি ফলন করলে খুবই লাভজনক হবেন। এটি খেতেও যেমন সুস্বাদু এটির দামও সেরকম উন্নত মানের হয়।
হিমসাগর আমঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আমের জাতের মধ্যে অন্যতম একটি জাত হচ্ছে হিমসাগর। দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে এই হিমসাগর আমটি।হিমসাগর আমটিও খিরসা পাতের মতোই সুস্বাদু এবং আকর্ষণীয় হওয়ায় জনপ্রিয়তার ও চাহিদার দিক দিয়ে উপরে উঠে আছে।
হিসামগর আমের ওজনঃ স্বাভাবিক একটি হিমসাগর আমের ওজন আড়াইশো থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
হিমসাগর আম দেখতে কেমনঃ হিমসাগর আমটি পাকার পর ভিতরে হলুদ ।হিমসাগর আমটি আশবিহিন। এই আমের মধ্যেও কোন প্রকার আস নেই । খিরসাপাত ও হিমসাগর একই ধরনের হলেও এদের জাত আবার আলাদা। অনেকে খিরসাপাত ও হিমসাগর আম একই জাতের বলে থাকে। কিন্তু এদের জাত এক না হলেও এদের মধ্যে পুষ্টি একই। কেননা খিরসাপাত এবং হিমসাগর আম দুটি খেতে একই স্বাদের হয় বলে জানা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মধ্যে হিমসাগর ও খিরসাপাতা আমটি অন্যতম বলেও জানা যায়।
হিমসাগর আম চেনার উপায় হিমসাগর আমটি খুব বড় আকার হয় না। এটি সাধারণত মাঝারি আকার হয়ে থাকে। এটি চেনার উপায় হচ্ছে হিমসাগর আমটি কাঁচা অবস্থায় হালকা কালো বর্ণের হয় এবং পাকলে ভোটার চারপাশে হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে এই আমটি খিরসাপাত আমের মতনই স্বাদে অত্যন্ত ভরপুর অতুলনীয়। হিমসাগর আমে কোন আঁশ নেই, আশযুক্ত আম যারা পছন্দ করেনা তাদের জন্য হিমসাগর আমটি খুব ভালো একটি আমের মধ্যে পড়বে ।
শেষ কথাঃ উপরের আলোচনায় রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত সেই সর্ম্পকে জানানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের পুরো পোস্টটি যদি আপনি পড়ে থাকেন তাহলে রাজশাহীর সবচেয়ে মিষ্টি আম কোনটি এবং কোন আম সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত সেই বিষয়ে জানতে কোনো অসুবিধা থাকবে না। তাই আম সর্ম্পকিত আরো তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url