কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন

কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন? কিডনিতে পাথর হলে আমরা বুঝতে পারি না। এমতাবস্থায় কি করণীয় রয়েছে,কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব এমনকি কিডনিতে পাথর হলে কি করা উচিত।




কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন? চলুন দেরি না করে কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সে সর্ম্পকে জেনে নিন।


কিডনি পাথরের লক্ষণ বা কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন যে আপনার কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা? শুরুতেই বলেছি কিডনিতে পাথর হলে সহজেই বোঝা যায় না। কোন লক্ষণ উপসর্গ ছাড়াই আপনার কিডনিতে বড় বড় পাথর জমা বাঁধবে অথচ আপনি বুঝতেই পারবেন না যে আপনার কিডনিতে পাথর হয়েছে। তাই কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সে সর্ম্পকে আলোচনা করব।


পেজ সূচিপত্রঃ কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন


 কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন


কিডনিতে পাথর হলে যেহেতু বোঝার  কোন উপায় নেই সেহেতু প্রতি বছর একবার হলেও

আলট্রাসনোগ্রাফি করা উচিত। তাহলে আপনার শরীরের কোথাও কোন অংশে সমস্যা হয়েছে কিনা তা বা কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা আপনি বুঝতে পারবেন। এমনকি অনেক সময় দেখা যায় পিত্তথলিতেও পাথর হয়ে থাকে সেটিও আপনি এই আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। পিত্তথলিতে পাথর হলে যে সমস্যাটি হয়ে থাকে ঠিকমতো খেতে পারেনা পেট ভারভার হয়ে থাকে।

 

আপনার প্রতি জন্মদিনে কিছু রুটিন ফলো করুন অর্থাৎ আপনার  প্রত্যেকটি জন্মদিনে একবার করে হলেও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান তাহলে আপনার কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা বা পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে কিনা অথবা টিউমার হয়েছে কিনা এ সকল বিষয় সম্পর্কেও জানতে পারবেন।



কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন সেই সর্ম্পকে ৩টি লক্ষণ জেনে নিন

প্রথমত -

 কিডনিতে পাথর হলে আপনার ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে আর ব্যথাটি হয়ে থাকে পাজরে।   পাঁজর বলতে বোঝায় বুকের খাঁচা থেকে কোমরের হাড় বরাবর ব্যথা অনুভূত হবে। এই ব্যথা হতে পারে হালকা, আবার তীব্র আকার ও ধারণ করতে পারে। এছাড়াও কিডনিতে যদি ইনফেকশন হয় পাথর থাকার কারণে জলবদ্ধতা হয়ে তাহলে এক ধরনের তীব্র ব্যথা অনুভূত হবে। আবার কখনো কখনো পাঁজর থেকে পেটের দিকে গড়িয়ে গড়িয়ে ব্যথা আসতে পারে। আবার কখনো কখনো যদি কিডনির নলির  মধ্যে পাথর হয় তাহলে ব্যথা গড়াতে গড়াতে যৌনাঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ অথবা পায়ের দিকে ব্যথা আসতে পারে।
এই ব্যথাগুলো সাধারণত আপনার শ্রমের সাথে অর্থাৎ আপনি দৌড়াদৌড়ি করছেন তখন ব্যাথা বেড়ে যাচ্ছে আপনি বিশ্রামে আছেন বা শুয়ে পড়লেন ঘুমিয়ে গেলেন ব্যথা চলে গেল এটাও কিডনিতে পাথর এর একটি লক্ষণ। 


আরো পড়ুন ঃ কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার



দ্বিতীয়

যে লক্ষণটি দেখা দিতে পারে সেটি হচ্ছে জ্বর। এই জ্বর তীব্র থেকে শুরু করে হালকা জ্বর ও হতে পারে ।



তৃতীয়ত

যে লক্ষণটি দেখা দিতে পারে সেটি হল প্রসাবের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাওয়া অর্থাৎ পুরো প্রসাব টা লাল হয়ে যাওয়া। 

কিডনিতে পাথর হওয়ার তিনটি লক্ষণ হলো ব্যথা, জ্বর, প্রসাবে রক্ত ঝরা "


যদি এমন হয় দুটো কিডনিতেই পাথর হয়েছে দুটো কিডনির মুখ একই সাথে বন্ধ হয়ে গেছে । তাহলে আপনার কিডনি অকেজো হয়ে যাবে। আর যখন দুটো কিডনি অকেজো হয়ে যাবে তখন যে লক্ষণটি দেখা দেবে আপনার পায়ে পানি এসে যাবে, মুখে পানি এসে যাবে, খাদ্যে অরুচি হবে, খেতে বসলে বমি হয়ে যাবে। 

সুতরাং কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ হচ্ছে ব্যথা জ্বর প্রসাবে রক্ত ঝরা ও রেনাল ফেলিওনস রোগে আক্রান্ত হওয়া।

কিডনিকে সুস্থ রাখতে যে উপায়গুলো পালন করা উচিত সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন

  • প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন
  •  মধ্যপান এবং ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন
  •  লাল মাংস খাওয়া কমিয়ে দিন
  •  লবণ ও চিনির ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন
  •  পেনকিলার এর ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
  •  ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন 



কিডনিতে পাথর হলে কোন খাবার খাওয়া উচিত এবং কোন খাবার খাওয়া উচিত না সে সম্পর্কে জেনে নিন
 

কিডনিতে পাথর হলে কোন কোন খাবার রোগীদের খাওয়া উচিত না এবং কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত এছাড়াও অপারেশন না করেও কিডনির পাথর ভালো হওয়া সম্ভব সে সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন। তাহলে চলুন কি খাবার খাওয়া উচিত এবং কি খাবার খাওয়া উচিত না।

 

প্রথমে যে খাবার কিডনিতে পাথর হলে খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করব আমরা নিজেদের অজান্তে এমন অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি যেগুলো খাওয়া আমাদের ঠিক না। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে আমাদের  খাদ্যভাসের দিক নজর দেওয়া জরুরি । যে খাবারগুলো আমাদের বেশি বেশি খাওয়া প্রয়োজন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার। যে খাবারগুলোতে ভিটামিন সি থাকে অর্থাৎ সাইটাল যুক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে যেমন -- লেবু, কমলালেবু ও মাল্টা ইত্যাদি এই সকল ধরনের খাবার আপনার নিয়মিত খাওয়া উচিত । যার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনাটা অনেকটাই কমে যাবে ।


ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডিঃ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে নানান ধরনের রোগের সম্মুখীন হতে হয়। সে ক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করতে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করুন। অর্থাৎ যে সকল খাবারে ক্যালসিয়াম বেশি পরিমাণে থাকে সে সকল খাবার সেবন করুন। আবার ভিটামিন ডি এটিও কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বিরত রাখার একটি উপায়।ক্যালসিয়ামের মতো ভিটামিন ডি একই কাজ করে থাকে।  আপনি যদি সরাসরি ভিটামিন ডি ক্যাপসুল না খেয়ে যদি প্রাকৃতিকভাবে যে সকল খাবারে ভিটামিন ডি উপাদান রয়েছে সে সকল খাবার খেলে এর থেকে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

 

পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি খেতে হবেঃ কিডনিতে পাথর যাতে না হয় সেজন্য যে কাজটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে পর্যাপ্ত পানি পান করা। আপনি যদি নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে আপনার শরীরের পানির ঘাটতির অভাব পূরণ করে থাকেন তাহলে কিডনিতে পাথর না হওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীরের অন্যান্য সকল রোগ থেকেও মুক্তি পেয়ে  থাকবেন।

 

যে সকল খাবার কিডনিতে পাথর হলে খাওয়া উচিত নয়

 কিডনিতে পাথর হলে যে সকল খাবার থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে স্ট্রবেরি পালন শাক । পানির স্ফটিক  জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন মাছ ডিম মাংস কম খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের কোল্ড ড্রিংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও নিয়মিত আপনাকে শরীরচর্চা করতে হবে অর্থাৎ ব্যায়াম করতে হবে। 


শেষ আলোচনাঃ কিডনিতে পাথর হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন আশা করি সেই সর্ম্পকে জানতে পেরেছেন ।তাই আপনাদের উচিত উপরে যে সকল নিয়ম উল্লেখ করা আছে সেই গুলো মেনে চলা তাহলে আপনি আপনার কিডনির সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url