রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার
সূচিপত্রঃ রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার
- গোলাপ জল কি
- রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার
- গোলাপ জল খাওয়ার উপকারিতা
- রূপচর্চায় গোলাপ জলের কিছু অসাধারণ উপকারিতা
- শেষ কথা
গোলাপ জল কি
গোলাপের পাপড়ি থেকে গোলাপের জল বের করা হয়ে থাকে। এটা সাধারণত খাবার এবং
রসগুলোর জন্য কিংবা প্রসাধনী উদ্দেশ্যে স্বাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কেননা এটা ত্বকের কিছু প্রাকৃতিক মিশ্রণ তৈরি করার জন্য এবং প্রসাধনী তৈরি করার
জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে অনেক দেশে বিশেষ করে ইরানের মহিলাদের
মধ্যে সৌন্দর্যের গোপন রহস্য গোলাপজল ওয়াটার। যদি প্রতিদিন আমরা এটা পানিতে
মিশিয়ে পান করি এবং গোলাপজলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অসুবিধা গুলো আমরা স্মরণ
করে ঠিকমত কাজে লাগাই তাহলে অনেক উপকৃত হব।
রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার
রূপচর্চায় গোলাপ জলের গুনাগুনের কথা কে বা না জানে। চুল, ত্বক ভালো রাখার ক্ষেত্রে রোজ ওয়াটারের জুরি অনেক। চলুন জেনে নেই রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার।
-
গোলাপ জল মুখে ছেটানোঃ মুখে রোজ ওয়াটার ছিটানোর ফলে চেহারাতে
ফ্রেশ ভাব আসতে পারে। মেকআপ করার পরে রোজ ওয়াটার ছিটালে মুখে মেকআপ ভালোভাবে
বসবে।
- চুল রুক্ষঃ গ্লিসারিন ও রোজ ওয়াটার সমপরিমাণ মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি তুলার সাহায্যে মাথার তালুতে 10 থেকে 15 মিনিট লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ৩০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।
-
ফেসিয়াল ক্লিনজারঃ রোজ ওয়াটার যেকোনো ত্বকের জন্যই ভালো
ক্লিনজার। হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর এক টেবিল
চামচ রোজ ওয়াটারের সাথে কয়েক ফোটা গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে লাগাতে
হবে।
- ক্লান্ত চোখঃ যদি চোখ ক্লান্ত বা ফোলা ফোলা লাগে দেখতে, তাহলে বরফ ঠান্ডা গোলাপ জলে তুলা ভিজিয়ে চোখের উপরে দশ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে চোখের লাল ভাব, ফোলা ভাব কমে যাবে।
- হেয়ার কন্ডিশনারঃ শ্যাম্পু করার পরে চুল এক কাপ রোজ ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে গোলাপজল খুব ভালো কাজ করে।
- অ্যাকনেঃ রোজ ওয়াটার এক টেবিল চামচ, লেবুর রস এক টেবিল চামচ মিশিয়ে অ্যাকনের উপর লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। গোলাপ জলে যে কোন ভালো ফেসপ্যাক গুলে মুখে লাগালেও উপকৃত হবেন।
-
ফেসিয়াল টোনারঃ ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার পর বরফ ঠান্ডা
গোলাপ জলে তুলো ভিজিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে নিতে হবে।
-
ত্বকের টান দূর করেঃ ২ টেবিল চামচ ময়দার সাথে লেবুর রস ও
গোলাপজল মিশিয়ে পাতলা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এরপর ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে
ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
-
মেকআপ রিমুভারঃ গোলাপজলের ভেতর কয়েক ফোটা নারকেল তেল মিশিয়ে
নিতে হবে। এই মিশ্রণটি তুলাই নিয়ে আলতো ভাবে মেকআপ উঠাতে পারেন। এই মিশ্রণটি
মেকআপ তোলার পাশাপাশি ত্বকে পুষ্টি ও যোগাবে।
-
নিজেকে প্রশ্রয় দিনঃ আমন্ড তেল বা ক্রিমের সাথে রোজ ওয়াটার
মিশিয়ে পুরো শরীরে ময়শ্চারাইজ করুন। দেখবেন যেমন ত্বক ভালো থাকবে, তেমনি
শরীরের ক্লান্তি ভাব ও দূর হবে।
- ত্বকে লালচে ভাব দূরঃ এই গোলাপ জল হচ্ছে ত্বকের সবচাইতে সুরক্ষিত উপাদান। এই একটা মাত্র উপাদান যা আপনি মুখে সরাসরি লাগাতে পারেন। ত্বকের জন্য গোলাপজল অনেক উপকারী। গোলাপজল ত্বকের লালচে ভাব কমিয়ে ত্বকের ওপর আরাম প্রদান করে থাকে।
গোলাপ জল খাওয়ার উপকারিতা
- আপনি যদি প্রত্যেক দিন জল দিয়ে পান করেন তাহলে গোলাপজল আপনার ত্বককে সাদা করে তোলে।
-
চোখের নিচে গঠিত হওয়া ডার্ক সার্কেলগুলো থেকে মুক্তি দেয়।
- দাগ থেকে ত্বককে পরিষ্কার করে এবং মুখ পুষ্টি দেয়।
- ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। সেই সাথে ত্বককে নরম করে তোলে। এক কথায় একটা স্বাস্থ্যকর চেহারা দিয়া থাকে।
- ত্বকের ছিদ্রগুলো দূর করে ফলে ব্রণের উপস্থিতি কমতে থাকে।
রূপচর্চায় গোলাপ জলের কিছু অসাধারণ উপকারিতা
আমরা এখন রূপচর্চায় গোলাপ জলের কিছু অসাধারণ উপকারিতা সম্পর্কে জানব। ত্বকের জন্য গোলাপজল অনেক উপকারী। গোলাপজল ত্বকের লালচে ভাব কমিয়ে ত্বকের ওপর আরাম প্রদান করে থাকে। এর পাশাপাশি বজায় রাখতে সহায়তা করে ত্বকের পিএইচ স্তর এর মাত্রা। গোলাপজল ত্বকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে থাকে। এমনকি এই প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে। গোলাপ জলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা হাইপার পিগমেন্টেশন অর্থাৎ চোখ দাগ ছোপ দূর করতে গোলাপ জল সাহায্য করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাহিনী
সেজন্য ত্বকের কালকে দেখ দূর করার জন্য আপনি গোলাপজল মাখতে পারবেন। গোলাপজল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য, ত্বকের বার্ধক্য কেও দূরে রাখতে সহায়তা করে। বলিরেখাকে গোলাপজল প্রতিরোধ করে ও ক্ষয়ের হাত থেকে কোষকে রক্ষা করে। এমনকি মুখের ব্রণের সমস্যা থাকলেও সেটা গোলাপজল দূর করে দেয়। গোলাপ জলের মধ্যে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।
শেষ কথাঃ রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার
রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ব্যবহার সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই রূপ চর্চায় গোলাপ জলের ১৫ টি কার্যকরী ব্যবহার সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url