ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত - ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম
ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত জেনে আপনি কি ইতালি আবেদন করতে চাচ্ছেন। যদি আপনি ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত জেনে যেতে চান, তাহলে আবেদনের নিয়ম জেনে আবেদন করুন। এই পোস্টে ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত কিনা এটি নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে।
আপনি যদি ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হতে পারে। যদি ইতালি থেকে আপনাকে কেউ রিকুমেন্ট করে, তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ভিসা পাবেন। এছাড়াও আপনি কোন কোম্পানির মাধ্যমেও চুক্তি করে ইতালির ভিসা পেতে পারেন।
পেইজ সূচিপত্র
- ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত
- ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ডিক্রি
- বাংলাদেশিরা ইতালির ওয়ার্ক পারমিটের জন্য কিভাবে আবেদন করবে
- ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের নিয়ম কি
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদনে নতুন সংযোজন
- কিভাবে একজন ইতালীয় নিয়োগকর্তা থেকে চাকরির অফার পাবেন
- ইতালিতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কিভাবে নিবেন
- শেষকথা
ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত
ইতালি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সবার জন্যই উন্মুক্ত কিনা এই বিষয়ে আপনাকে একটি সঠিক ধারণা নিতে হবে। কারণ যারা মনে করেন যে, আপনি সরাসরি আবেদন করলেই ইতালির জন্য ভিসা পেয়ে যাবেন ঠিক তা নয়। ইতালির ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আপনাকে সঠিকভাবে করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ নতুন ই পাসপোর্ট করার নিয়ম কি
কেননা আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম জেনে এখানে সরাসরি ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করলে পাবেন না। আপনাকে যেই ধরনের কোম্পানি থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই কোম্পানি যদি আপনার হয়ে আবেদন করে তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বর্তমান সময়ে ইতালিতে বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ কারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখান থেকে প্রয়োজনীয় কর্মী প্রতি বছর নিয়োগ দিয়ে থাকে। অধিকাংশ ইতালীয়রা কোম্পানির ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত এর মাধ্যমে যাচাই বাছাইয়ের পর দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয়।
ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ডিক্রি
ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য খুব শীঘ্রই ডিক্রি চালু করা হয়েছে। এই ডিক্রি জারি হওয়ার পর থেকে ইউরোপের বাইরের দেশগুলো অর্থাৎ তৃতীয় বিশ্বের যেই দেশগুলো রয়েছে। সেখানে অদক্ষ শ্রমিক ভিসা ও স্টার্ট আপ ভিসায় ইতালিতে আসার ইচ্ছা পোষণ করে।
এই কারণে সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য এই ডিক্রি জারি করা হয়। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা সাত হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যদিও প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী এই ডিক্রি জারি হওয়ার কারণে একই নিয়ম ফলো করে ইতালি যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।
সিজনাল বা মৌসুমী যেই ভিসা রয়েছে, সেই ভিসায় ইচ্ছুকদের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। ওয়ার্ক পারমিট কোটা বাড়িয়ে দিয়ে সারাদেশের শ্রমিক ঘাটতি মোকাবেলায় অত্যন্ত সাহায্য করে থাকে। নির্দিষ্ট সেক্টর গুলোর জন্য এই ওয়ার্ক পারমিট আবেদনকারীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।
এই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম জেনে ওয়ার্ক পারমিটের কোটা সুবিধা হাই যোগ্যতা সম্পন্ন অথবা দক্ষ বিদেশিদের জন্য কখনোই প্রযোজ্য নয়। ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ডিক্রিতে যেই সকল পরিকল্পনা রয়েছে তা হলো -
১। ইতালির শ্রম ও সামাজিক পরিকল্পনা বিষয়ক যেই মন্ত্রণালয় রয়েছে, সেখান থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম এর ডিক্রি অনুযায়ী যা প্রকাশিত হয়েছে বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিট এর অধীনে।
২। প্রায় চুয়াল্লিশ হাজার কোটা মৌসুমী বা সিজনাল কাজের জন্য সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। এই কোটায় অর্থাৎ এই খাতে যাদের সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা নেওয়া হয়, তারা হচ্ছে যারা কৃষি খাতে শ্রম দিয়ে থাকে।
৩। অন্যদিকে নন সিজনাল বা স্পনসর ভিসার জন্য আটত্রিশ হাজার সাতশো পাঁচটি কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে।
৪। এছাড়াও স্পন্সর ভিসা পর্যটন, টেলিযোগাযোগ এবং নির্মাণ খাতেও আবেদন করার জন্য বিভিন্ন ইচ্ছুক ব্যক্তিদেরকে সংরক্ষিত করা হয়েছে।
৫। নন সিজনাল ভিসার জন্য প্রায় সাত হাজার কোটা ইতালি অথবা ইউরোপীয় যারা এখানে অবস্থান করছে, তাদের জন্য রাখা হয়েছে।
৬। ইতালিতে অবস্থানরত সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য রেসিডেন্স পারমিট নবায়ন করা হয়েছে। ইইউর কোন দেশে যদি আবেদন করতে চায়, তাহলে তারা সুযোগ পেতে পারে।
৭। পরিশেষে ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত জেনে প্রায় পাঁচশো টির মত কোটা স্টার্ট আপ ভিসায় বা স্বনিযুক্ত ব্যক্তি আওতায়, সেই সকল ইতালিতে আসা ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য দেওয়া হয়।
৮। এই সকল ক্যাটাগরিতে মালিক, উদ্যোক্তা, বিশিষ্ট শিল্পী, সিইও, অডিটর এবং কমপক্ষে তিন বছর ধরে ইতালীয় বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা হিসেবে সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
৯। তাদের জন্য এই সকল ভিসা প্রযোজ্য হয়ে থাকে। তাই ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য এই ডিক্রি খুব ভালোভাবে কাজ করছে।
বাংলাদেশিরা ইতালির ওয়ার্ক পারমিটের জন্য কিভাবে আবেদন করবে
বাংলাদেশিরা ইতালির ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যদি একজন সঠিক প্রার্থী হয়ে থাকে, তাহলে সে আবেদন করতে পারবে। কারণ যিনি ইতালির ওয়ার্ক পারমিট পেতে চান, তাকে প্রতিটি ধাপকে অতি সঠিকভাবে ফলো করতে হবে। ইতালির ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার জন্য ইতালির বিভিন্ন কোম্পানি থেকে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়।
সেখান থেকে যদি আপনাকে কেউ সিলেক্ট করে আবেদনের জন্য তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশীরা ইতালির ওয়ার্ক পারমিটের জন্য বাংলাদেশের যেই সকল ইতালীয় দূতাবাস রয়েছে, সেখান থেকে আবেদন করতে পারবে। দূতাবাস গুলোর মধ্যে ইতালির ভিসার জন্য আবেদন করতে কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
প্রথমত সেখানে আপনাকে ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত কিনা জেনে বাংলাদেশে অবস্থান করা ইতালীয় যেই দূতাবাস রয়েছে, সেখানে যেতে হবে। সেখান থেকে আপনি ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। যখন আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন আবেদন এর বর্তমান অবস্থা
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম জেনে আপনি ইতালির ভিসার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারেন। যখন ভিসার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হবে, আপনাকে ইতালির ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। আপনার কাছে তখন ইতালি যাওয়ার জন্য ভিসা থাকবে, আপনি সরাসরি ইতালিতে যেতে পারবেন। যখনই আপনি ইতালি যেয়ে পৌঁছাবেন।
তখন আপনাকে নিয়োগকারী যেই কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল সেখানে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে যেই স্থানীয় প্রশাসনিক অফিস রয়েছে, সেখানে গিয়ে আপনাকে আপনার কাজের চুক্তি সম্পাদন করে আসতে হবে। এই কাজগুলো সম্পূর্ণ হয়ে যাবার পরে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিটের চুক্তিতে আসতে হবে।
যদি সেই মুহূর্তে আপনি কোন ধরনের চুক্তি না করে থাকেন, তাহলে আপনাকে সেখানে অবৈধ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তাই আপনি যোগ্য প্রার্থী হয়ে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যদি আবেদন করতে চান, তাহলে প্রতিটি নিয়ম সঠিকভাবে ফলো করে যেতে হবে।
ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের নিয়ম কি
ইতালীয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের সময়কাল বাংলাদেশের জন্য অনেক পূর্ব থেকেই শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সাল থেকেই বাংলাদেশের জন্য ইতালির ভিসা চালু করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশীরা মূলত দুই ধরনের ভিসা পেয়ে থাকে।
যার মধ্যে একটি হচ্ছে সিজনাল ভিসা অর্থাৎ অস্থায়ী ভিসা এবং অপরটি হচ্ছে নন সিজনাল ভিসা বা স্থায়ী ভিসা। এই সিজনাল ভিসা এবং নন সিজনাল ভিসা আবেদনের কিছু নিয়ম রয়েছে। ভিসার আবেদন নির্ভর করবে আপনার উপর।
আপনি ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত জেনে কোন ধরনের ভিসা আবেদন করতে চান, সিজনাল ভিসা অথবা নন সিজনাল ভিসা। এই ধরনের ইতালি ভিসার আবেদন করার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদনের নিয়মগুলো হলো -
- প্রথমেই আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আপনি ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসার যোগ্য কিনা।
- যদি যোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার কাছে বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- ইতালীয় কোন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে আপনার জন্য কাজের একটি অফার থাকতে হবে।
- স্বাস্থ্য বীমা এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট নিশ্চিত হতে হবে।
- যেই সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপনার ভিসার আবেদনের জন্য লাগতে পারে, সেইগুলো সংগ্রহ করতে হবে।
- আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম জেনে বাংলাদেশের ইতালীয় দূতাবাস থেকে ভিসা নিতে পারবেন।
- কিন্তু এর জন্য আপনার ভিসা প্রসেস করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
- কারণ প্রক্রিয়ার সময় সাধারণত আপনার এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে।
- যখন আপনার ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন ভিসা সংগ্রহ করতে হবে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদনে নতুন সংযোজন
ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদনের জন্য নতুনভাবে কিছু সংযোজন শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম চালু করার ফলে যেই সকল ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে নন সিজনাল ভিসায় শ্রমিক আবেদন করতেন, তাদের কিছু অঞ্চলের কর্মসংস্থান কেন্দ্রের অনুমোদন দিতে হবে। যদি সিজনাল বা মৌসুমী বিষয়ে আসতে চায়।
তাহলে এই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে না। শ্রম নীতির জন্য নির্ধারিত ইতালির জাতীয় সংস্থা জানিয়েছে, একজন ব্যবসায়ী যদি তার কোন ধরনের শ্রমিক আনতে চায়। তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম জেনে যেই সকল শ্রমিক ঘাটতিতে রয়েছে পাওয়া যায় না, সেইটার প্রমাণ দিতে হবে।
এই প্রক্রিয়ায় অবশ্যই একজন ব্যবসায়ীকে স্থানীয় কর্মসংস্থান কেন্দ্রের মাধ্যমে ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত জেনে স্টাফ রিকুয়েস্ট এর একটি আবেদন করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্যই ইতিবাচক একটি সিদ্ধান্ত পাঠালে কর্মসংস্থান কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করলেও সমস্যা হবে না।
যদি কর্মসংস্থান কেন্দ্রের আবেদনের পনের কার্য দিবসের মধ্যে কোন ধরনের উত্তর না দিয়ে থাকে, তাহলে কর্মচারী যদি কোন কারণে অযোগ্য হয় তাহলে এই ধরনের সত্যায়ন কখনোই গ্রহণ করা হবে না। একজন শ্রমিক যখন ঘাটতিতে থাকে তখন ব্যবসায়ীকারীদের সনাক্ত করা হয়।
ভিসা ব্যবসার যেই পদ্ধতি সেটিকে অবৈধ অভিভাসন নামে উদ্যোগ নিয়েছে ইতালির নতুন জোট সরকার। তাই অতীতের যেই সকল লোক ভিসা নিয়ে এসেছিল তারা পরবর্তীতে কাজে যোগ না দেওয়ার কারণে অনিয়মিত অভিভাসের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যার ফলে এটি একটি অভিযোগ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আবেদনকারীকে অবশ্যই ইতালির সরকারি বেতন কাঠামো এবং থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় খরচ নিয়ে ধারণা রাখতে হবে। বিপুল পরিমাণে টাকার বিনিময়ে ভিসার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
যেই সকল নিয়োগকর্তারা রয়েছেন, তাদেরকে অনেক সময় অসাধু ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে দেখা যায়। তাই ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
কিভাবে একজন ইতালীয় নিয়োগকর্তা থেকে চাকরির অফার পাবেন
ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত জেনে নিয়ে একজন ইতালীয় নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির অফার পেতে হলে আপনাকে কিছু টিপস জানতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি এই অফারকে পেতে পারেন যেমন,
১। ইতালিতে থাকা লোকদের সাথে নেটওয়ার্কঃ
যদি আপনি ইতালি থেকে ওয়ার্ক পারমিট পেতে চান তাহলে আপনার নেটওয়ার্কিং সৃষ্টি করতে হবে। নেটওয়ার্কিং আপনার চাকরির সুযোগ করে দিতে পারে। কারণ এর মধ্যে যারা ইতালিতে কাজ করছে, তাদের সাথে আপনি নেটওয়ার্ক করতে পারেন।
অথবা আপনার পরিচিত আশেপাশে যারা ইতালি থেকে এসেছে, তাদের সাথেও ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম জেনে নেটওয়ার্ক করতে পারেন। অনলাইনের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও আপনি বাংলাদেশের নেটওয়ার্কিং ইভেন্টেও যোগ দিতে পারেন।
২। ইতালির বিভিন্ন চাকরির মেলায় যুক্তঃ
যদি আপনি ইতালির বিভিন্ন চাকরির মেলায় যুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে নিয়োগ কারীদের সাথে দেখা করে এবং কাজের সুযোগ সম্পর্কে জেনে ইতালি থেকে ওয়ার্ক পারমিট পেতে পারেন। কারণ সারা বছর ধরে ইতালিতে যেই ধরনের চাকরির মেলা হয় সেখান থেকে খুঁজে পেলে আপনি খুব সহজেই চাকরি পেতে পারেন।
৩। ইতালীয় কোম্পানি থেকে মৌসুমি কর্মী ভাড়াঃ
যেই সকল ইতালীয় কোম্পানি রয়েছে যারা মৌসুমী কর্মী নিয়োগ করে থাকে। আপনি সেই সকল কোম্পানির সাথে কথা বলে কাজ নিতে পারবেন। কারণ ইতালিতে মৌসুমী কর্মী নিয়োগ কারী কোম্পানিগুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে।
আপনি ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত কিনা জানলে বাংলাদেশের ইতালীয় দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করে সেই সকল কোম্পানি গুলি থেকে মৌসুমী কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে জানতে পারেন।
৪। অনলাইনে চাকরির জন্য আবেদনঃ
অনেক সময় ইতালীয় কোম্পানিগুলো অনলাইনে তাদের চাকরির পোস্ট করতে পারে। তাই আপনি সবসময় চোখ কান খোলা রেখে অনলাইনে চাকরির অনুসন্ধান করতে পারেন।
কারণ ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম মেনে চাকরির সুযোগ তালিকাভুক্ত অনলাইন জব বোর্ডের মাধ্যমে দিয়ে থাকে। এর জন্য আপনি বাংলাদেশী ইতালীয় দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সেই সকল চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন।
৫। জীবনবৃত্তান্ত ও কভার লেটার প্রস্তুতঃ
আপনার যদি একটি জীবন বৃত্তান্ত এবং কভার লেটার অনেক সুন্দর ভাবে করা থাকে, তাহলে নিয়োগ কর্তাদের কাছে খুব সহজেই আপনি সিলেক্ট হতে পারেন। কারণ আপনার যোগ্যতা নির্ধারণ করার জন্য জীবন বৃত্তান্ত এবং কভার লেটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই জীবন বৃত্তান্ত আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে নিয়োগ কর্তার কাছে তুলে ধরতে পারে। তাই আপনার কভার লেটারের সবকিছু সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা থাকলে, ইতালিতে আপনি খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন। যদি একটু ধৈর্য ধরে চাকরি খোঁজার চেষ্টা করেন, তাহলে খুব সহজেই আপনি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ইতালিতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কিভাবে নিবেন
ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ইতালি প্রবাসী বিভিন্ন বাংলাদেশীদের জন্য বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি আপনি শিক্ষা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে এই পড়াশোনাকে পুনরায় শুরু করতে পারেন।
সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাস রোমের তত্ত্বাবধানে ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশী ইতালি প্রবাসী ব্যক্তিরা সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে, আপনি নিজের শিক্ষা প্রোগ্রামকে পুনরায় শুরু করতে পারবেন।
ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত কিনা জেনে এই সকল প্রোগ্রামের মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষায় শাখার ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে অনলাইনে টিউটোরিয়াল ক্লাস এবং পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনি আপনার শিক্ষা গ্রহণকে সম্পন্ন করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ কৃষি ব্যাংক একাউন্ট চেক করার তথ্য
এই সকল প্রোগ্রামে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার নিয়ম জেনে আপনার অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ল্যাপটপ, কম্পিউটার অথবা ফোন প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রোগ্রামটি বিদেশের মাটিতে হওয়ার ফলে কাজের ফাঁকে ও অবসরে নিজের দক্ষ ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে।
নিজেকে উচ্চতর যোগ্যতা সম্পন্ন গড়ে তোলার একটি বিশেষ সুযোগ রয়েছে। প্রোগ্রামটি যথাযথভাবে দূতাবাস থেকে পর্যালোচনা করা হয়। আত্মবিশ্বাসের সাথে সাথে পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় সহায়ক হতে পারে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য শিক্ষা কার্যক্রমের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
শেষকথা
এই আর্টিকেলে ইতালি কি ওয়ার্ক পারমিট উন্মুক্ত কিনা এই বিষয় নিয়ে খুব ভালোভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যদি কোন বিষয় সম্পর্কে আপনার আরও ভালোভাবে বিস্তারিত জানার থাকে, তাহলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে আমাদের পাশেই থাকুন। ২৫২৭৫
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url