কিভাবে মোটা হওয়া যায় - মোটা হওয়ার উপায় কি সে সর্ম্পকে জেনে নিন
পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে মোটা হওয়া যায় - মোটা হওয়ার উপায় কি সে সর্ম্পকে জেনে নিন
- কলা ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
- দুধ ও মধু ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
- ডিমের ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
- টক দইয়ের ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
- বাদামের ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
- কিসমিসের ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
- বেশি পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করার মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
- টেনশনমুক্ত থাকার মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
- পর্যাপ্ত পরিমান পান ও ঘুম হওয়া মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
কলা ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
ওজন বাড়ানোর জন্য ভালো উপায় হচ্ছে কলা সেবন করা । কিভাবে মোটা হওয়া যায় ? আপনি কি করবেন আপনি সারাদিনে কমপক্ষে তিন থেকে চারবার যদি কলা খেয়ে নেন তাহলে এটি আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলবে। আপনি যদি এক গ্লাস দুধ খাওয়ার ২০ মিনিট পর কলা খান তাহলে এটি আরো ভালো উপকার দেবে ।২০ মিনিটের গ্যাপ তারাই রাখবেন যাদের হজম শক্তি কম। প্রতিদিন সকালে নাস্তা করার সময় ব্যানানা মিল্ক সেক আপনি অবশ্যই রাখবেন ।এতে করে খুব দ্রুত রেজাল্ট পাবেন যদি আপনি কলা খাওয়া পছন্দ না করেন তাহলে আপনার কলার জায়গায় খুরমা অথবা খেজুর নিতে পারেন। তারপর সেটিকে দুধের সাথে মিশিয়ে দুধ এবং খেজুর কে একসাথে চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন । এর মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন কিভাবে মোটা হওয়া যায় সেই সর্ম্পকে।
দুধ ও মধু ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
ডিমের ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
টক দইয়ের ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
দুপুরে খাবার শেষে এক বাটি টক দই খেয়ে নিতে পারেন। আসলে টক দই দুধ দিয়ে বানানো যার ফলে এতে দুধের সকল পুষ্টি টক দইয়ের ভিতর থাকে। শুধু তাই নয় টক দইতে অনেক উপকারী জীবাণু থাকে এগুলো পড়ে ক্ষতিকর জীবাণুগুলো থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেবে । হ্যাঁ তবে অবশ্যই মিষ্টি দই এড়িয়ে চলবেন কারণ মিষ্টি দইতে প্রচুর পরিমাণে চিনি যোগ করা হয় । অতিরিক্ত চিনি ভাজা তেল চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন । কারণ এগুলো বেশি খেলে শরীরের মাংসপেশি না বেড়ে চর্বি বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় । আর এভাবে ওজন বাড়লেও তা স্বাস্থ্যকর হবে না যার ফলে আপনার শরীরে অনেক ধরনের রোগ দেখা দিবে। তবে মিষ্টি দই কখনোই খাওয়া যাবে না তা কিন্তু নয় হঠাৎ হঠাৎ পরিমিত মাত্রায় খাওয়া যেতে পারে তবে নিয়মিত না খাওয়াই ভালো । আর এর মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন কিভাবে মোটা হওয়া যায় সেই সর্ম্পকে।
আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
বাদামের ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
ওজন বাড়ানোর জন্য খুব ভালো খাবার হচ্ছে বাদাম। চিনা বাদাম, কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম আপনার সুবিধা অনুযায়ী আপনি যেকোনো ধরনের বাদাম খেতে পারেন। কারণ বাদামে রয়েছে মিনারেল স্বাস্থ্যকর যুক্ত ফ্যাট ভিটামিন ফাইবার সব পেয়ে যাবে আপনার বডি। এটি একটি প্রি বায়োটিক খাবার। কেননা এটি আপনার পেটের ভিতরে থাকা উপকারী জীবাণু কে সুস্থ রাখে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য নাস্তায় বা দুপুরে ও রাতের খাবারের পরে বাদাম আপনি খেতে পারেন। কেনার সময় খেয়াল রাখবেন এতে কোন উপাদান মেশানো যাতে না থাকে । বিশেষ করে যারা দেশের বাইরে থাকেন তারা বিষয়টি খেয়াল রাখবেন । বাজারে অনেক ধরনের চিনি লবণ মেশানো বাদাম প্যাকেটে কিনতে পাওয়া যায়। আর এর মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন কিভাবে মোটা হওয়া যায় সেই সর্ম্পকে।
কিসমিসের ব্যবহারে মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
ওজন বাড়ানোর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে কিসমিস । এটি আপনি বাদামের সাথেও খেতে পারেন। কিসমিস যেহেতু আঙ্গুর শুকিয়ে বানানো হয় তাই অল্প পরিমান কিসমিসে অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। কিসমিস কে সারারাত ভিজিয়ে সকালে নাস্তায় বাদামের সাথে খেতে পারেন । এক মুঠো কিসমিস আপনার ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই উপকারী হবে । আর এর মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন কিভাবে মোটা হওয়া যায় সেই সর্ম্পকে।
বেশি পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করার মাধ্যমে ঃ কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা বেশি ক্যালোরি বার্ন করি এবং কম ক্যালরি গ্রহণ করি। কিন্তু ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিষয়টি হবে উল্টো এক্ষেত্রে ক্যালরি বার্ন করবে তার দ্বিগুণ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে । ওজন বৃদ্ধির জন্য শরীরের চাহিদার তুলনায় বেশি পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করুন । ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। আর যদি ওজন আস্তে
আস্তে বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ করলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে । আর এর মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন কিভাবে মোটা হওয়া যায় সেই সর্ম্পকে।
টেনশনমুক্ত থাকার মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
সব সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে টেনশন । ওজন বৃদ্ধিতে যেমন টেনশন মুক্ত থাকা প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন কমাতেও টেনশন মুক্ত থাকা খুবই জরুরী। আমরা সাধারণত পারিবারিক বা অন্যান্য যেকোনো ক্ষেত্রে যে কোন কারণে টেনশন করে থাকি এমনকি যেকোনো সমস্যায় টেনশন জিনিসটা খুব আগে থেকে চলে আসে । কিন্তু এই ব্যাপারে কিছুটা সচেতন থাকা উচিত । কেননা ওজন কমানোর এবং বাড়ানোর পিছনে টেনশন জিনিসটা খুবই ঝুঁকির একটা বিষয় । তাই আমাদের এই বিষয়টির প্রতি সজাগ থাকতে হবে ।
পর্যাপ্ত পরিমান পান ও ঘুম হওয়া মাধ্যমে কিভাবে মোটা হওয়া যায় তার উপায়
শরীর ঠিক রাখতে ঘুম খুবই প্রয়োজন । আমাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত । ঘুম আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করে থাকে । সারা দিনের পরিশ্রম শেষে ঠিকমত যদি ঘুম না হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীর অনেকটাই খারাপ হতে থাকে। সেজন্য ঘুম হওয়া শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর সঠিক পরিমাণে ঘুমানোর জন্য আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।
শেষ আলোচনাঃ কিভাবে মোটা হওয়া যায় উপরের সকল টিপস যদি আপনি ফলো করেন তাহলে আপনার ওজন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। আশা করছি এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে । আর কিভাবে মোটা হওয়া যায় সেই সর্ম্পকে জানতে পেরেছেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url